মেহেরপুরে কিট সংকটে বন্ধ ডেঙ্গু পরীক্ষা
যা সাধারণ রোগীদের সামর্থ্যর বাইরে। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
প্রথম নিউজ, মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিট সংকটে বন্ধ রয়েছে ডেঙ্গু পরীক্ষা। এতে করে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে দ্বিগুণ টাকা ব্যয়ে করতে হচ্ছে ডেঙ্গু পরীক্ষা। যা সাধারণ রোগীদের সামর্থ্যর বাইরে। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সারা দেশের মতো মেহেরপুরেও দেখা দিয়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। নানা উপসর্গ নিয়ে প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ আসছেন হাসপাতালে। ডেঙ্গু আক্রান্ত সন্দেহে চিকিৎসকরা পরীক্ষা দিলেও রোগীদের ছুটতে হচ্ছে বাইরের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। এছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্তদের প্লাটিলেট পরীক্ষার জন্য এ হাসপাতালে নেই কোনো সেলকাউন্টার যন্ত্র। প্লাটিলেট ও ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য রোগীদেরকে গুনতে হচ্ছে অনেক টাকা। এতে করে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের।
রোগীর বাবা সাহানুল ইসলাম জানান, তিনদিন আগে আমার ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে ডাক্তার ডেঙ্গু পরীক্ষা দেন। হাসপাতালে কিট না থাকায় বাইরে বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হয়। সেখানে ২০০০ টাকা পরীক্ষার জন্য দিতে হয়। সাধারণ মানুষের পক্ষে এত টাকা খরচ করে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা সম্ভব নয়।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এমটি ল্যাব মহাবুল হক জানান, এক সপ্তাহ ধরে কিট না থাকায় ডেঙ্গুর সব পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। রোগীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা ফিস ৫০ টাকা। সেখানে বেসরকারি ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গুনতে হচ্ছে ৫০০ টাকা। অন্যদিকে ডেঙ্গু আক্রান্তদের প্লটিলেট পরীক্ষার জন্য এ হাসপাতালে নেই কোনো সেলকাউন্টার যন্ত্র। প্লাটিলেট ও ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য রোগীদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।
মেহেরপুর গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও আব্দুল আল মারুফ জানান, প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী এই হাসপাতালে গ্রাম থেকে আসছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় কিট এবং একটি সেল কাউন্টার মেশিনের চাহিদা দেওয়া হয়েছে।