মাধবপুরে চার শিশুকে বেঁধে নির্যাতন : গ্রেপ্তার ৩
রোববার (২৮ মে) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে রোববার নির্যাতিত এক শিশুর অভিভাবক মাধবপুর থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
প্রথম নিউজ, হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার সাথে চার শিশুকে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৮ মে) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে রোববার নির্যাতিত এক শিশুর অভিভাবক মাধবপুর থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। গতকাল শনিবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের বৈষ্ণবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তাররা হলেন ওই গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে আক্তার হোসেন, আব্দুল হালীমের ছেলে আসাদ আলী ও মৃত নূর হোসেনের ছেলে আব্দুল হক।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার তিনজনসহ কয়েকজন মিলে চার শিশুকে অটোরিকশার সাথে বেঁধে নির্যাতন করে। বিষয়টি জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ এবং অভিযুক্তদের আটক করতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। রোববার রাতে এক শিশুর দাদা বৈষ্ণবপুর গ্রামের আনোয়ার ফকির মাধবপুর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দুইজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
নির্যাতনের শিকার দুই শিশুর মামা স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. শামীম মিয়া জানান, শনিবার সন্ধ্যায় তিনি জানতে পারেন তার বোনের দুই ছেলেকে তার সিএনজির সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে। সেখানে গিয়ে তিনি চার শিশুকে অটোরিকশার সাথে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় মো. শামীম মিয়া মুঠোফোন দিয়ে ভিডিও করলে তা কেটে ফেলা হয়। আসাদ আলী সর্দার নামে এক স্থানীয় এক লোক জানান, শিশুরা সিএনজির স্টিয়ারিংয়ের তার ছিড়ে ফেলায় তাদের হাতে রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। পরে আমি এসে শিশুদের পরিবারকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে তাদের ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করি।
মাধবপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আশরাফ আলী বলেন, ঘটনাটা জেনেছি। মাধবপুর থানায় এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে এবং শিশুদের প্রাথমিক কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন আছে কি না সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরকে অবগত করা হয়েছে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার জন্য। শিশুরা যাতে করে পরবর্তীতে কোনো প্রকার আইনের আওতায় না আসে বা আইনি ঝামেলায় না পড়ে সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক আছি।