মুদ্রিত সংবাদপত্রের কফিনে আর একটি পেরেক

অস্ট্রিয়ার বিখ্যাত দৈনিক উইনার জিটং-এর প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ভিয়েনা থেকে সংবাদপত্রটি প্রকাশিত হতো।

মুদ্রিত সংবাদপত্রের কফিনে আর একটি পেরেক

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বের মুদ্রিত সংবাদপত্রের দুনিয়ার কফিনে আর একটি পেরেক পড়লো। বিশ্বের প্রাচীনতম সংবাদপত্রের মুদ্রন বন্ধ হচ্ছে। পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণ অবশ্য প্রকাশিত হবে। অস্ট্রিয়ার বিখ্যাত দৈনিক উইনার জিটং-এর প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ভিয়েনা থেকে সংবাদপত্রটি প্রকাশিত হতো। অস্ট্রিয়ার সংসদে বিষয়টি অনুমোদিত হয়েছে।  পহেলা জুলাই থেকে সংবাদপত্রটির অনলাইন সংস্করণ প্রকাশিত হবে। ভিয়েনার রাজপথে পাঠকদের প্রতিবাদ আছড়ে পড়েছে। ১৭০৩ তিন সালে উইলারসিচেস দিয়ারিয়াম নামে সংবাদপত্রটি প্রকাশিত হয়। ১৭৮০ সালে সংবাদপত্রটির নতুন নামকরণ হয়-উইনার জিটং। 

এই নিয়ে প্রতিবাদ এত চরমে পৌঁছায় যে অস্ট্রিয়ার প্রেসিডেন্ট নরবার্ট হোফারকে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে হয়। মূলত তাঁর উদ্যোগেই অনলাইন সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে। পত্রিকার পরিচালন বোর্ড অবশ্য কথা দেননি যে অনলাইন সংস্করণে সংবাদপত্রের গম্ভীর্য্য অটুট থাকবে কি না।

উইনার এর মুদ্রিত সংস্করণ বন্ধ হওয়ার খবরে বিশ্বজুড়ে প্রিন্ট মিডিয়ার দুনিয়ায় হতাশা দেখা দিয়েছে। কোভিড মহামারী উত্তর কালে পাঠকদের মুদ্রিত সংবাদপত্র পড়ার বিষয়ে গভীর অনীহা দেখা দিয়েছে। ভারতেও বেশ কিছু মুদ্রিত সংবাদপত্র বন্ধ হয়ে গেছে। বেশ কিছু সংবাদপত্র টিম টিম করে মুদ্রন চালিয়ে গেলেও পাশাপাশি জোর দিয়েছে অনলাইন প্রকাশনায়। টেকনোলজির উন্নয়নের পাশাপাশি মুদ্রিত সংবাদপত্র পড়ার ঝোক কমেছে। নতুন প্রজন্মের পাঠকেরা অনলাইন সংবাদ বেশি পছন্দ করছে। প্রকাশনার ব্যায়ও বেড়েছে। অনলাইন সাংবাদিকতা মেন স্ট্রিম সাংবাদিকতার ছুঁতমার্গ-কে অস্বীকার করে নতুন পথে ছুটেছে। এই অবস্থায় উইনার কেও সেই পথের পথিক হতে হলো ৩২০ বছরের ঐতিহ্য ঝেড়ে ফেলে।