মাকে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়েছিলেন নোবেল, জানালেন স্ত্রী
গতকাল ফেসবুক স্ট্যাটাসে তার এসব ঘটনার পেছনে কারণ জানালেও সংবাদমাধ্যমের কাছে আরও বিষ্ফোরক মন্তব্য করলেন তার স্ত্রী।
প্রথম নিউজ, বিনোদন ডেস্ক: কম সময়েই খ্যাতি কুড়িয়েছিলেন সংগীতশিল্পী মাইনুল ইসলাম নোবেল। তবে বেশ কিছু বিতর্কিত কাণ্ড ঘটিয়ে সমালোচিত হয়েছেন বার বার। যা সম্প্রতি কুড়িগ্রামে মদ কাণ্ডে আরও বেশি চাউর হয়। তবে এবার বেরিয়ে এসেছে আরও কিছু তথ্য। যা তার স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাস এবং গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। গতকাল ফেসবুক স্ট্যাটাসে তার এসব ঘটনার পেছনে কারণ জানালেও সংবাদমাধ্যমের কাছে আরও বিষ্ফোরক মন্তব্য করলেন তার স্ত্রী। জানালেন শুধু মদই না নেশা করে নিজের মাকে মারতেন নোবেল। মাদকাসক্ত নোবেলকে শোধরানোর কোনো চেষ্টা করা হয়েছিল কি? এমন প্রশ্নের জবাবে সালসাবিল বলেন, আমিই শুধু না, তার পরিবার পর্যন্ত চেষ্টা করেছে। কিন্তু সবাইকে সে মারধর করত। তার মা-বাবা পর্যন্ত তার হাতে মার খেয়েছে।
নিকেতনের বাসায় থাকতে তার মাকে মেরে এমন অবস্থা করেছিল যে তাকে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে হাসপাতালে নিতে হয়েছিল। আসলে যে মাদক নেয়, তাকে আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমি ছাড়ব কি না। সে যদি ছাড়তে চায়, তাহলে কেবল সম্ভব। পরিবারের সঙ্গে নোবেলের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না উল্লেখ করে সালসাবিল আরও বলেন, আমাদের যখন বিয়ে হয়, তখন ভালো ছিল। কিন্তু ও যখন মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে ও সবাইকে মারধর শুরু করে, তখন থেকেই খারাপ হয়ে যায়। ওর বাবা আমাকে বলে দিয়েছেন, কেউ যদি কখনও নোবেল আর তার সম্পর্কে জানতে চায় তখন যেন আমি বলে দেই, তার বাবা তাকে ত্যাজ্যপুত্র করেছেন। এর আগে নিজের ফেসবুকে ডিভোর্সের খবর ও কারণ জানিয়ে সালসাবিল লেখেন, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরও যখন আমার ও নোবেলের কথা হয়। আমি তাকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা নেওয়ার জন্য জিজ্ঞেস করি।
সে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় সে কখনও মাদক ছাড়বে না এবং বলে, নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম। এরপর আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করি। ২০১৯ সালে নোবেলের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সালসাবিল। কিন্তু নোবেলের উচ্ছৃঙ্খলতা ও মাদকাসক্তির কারণে তার থেকে দূরে সরে যান সালসাবিল। সম্পর্কটা ছিল শুধু কাগজ-কলমে। অবশেষে তা ছিন্ন করলেন সালসাবিল।