বৃষ্টির অজুহাতে বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম
ময়মনসিংহে একদিনের বৃষ্টির অজুহাতে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। চাহিদা বাড়ায় দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রথম নিউজ, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে একদিনের বৃষ্টির অজুহাতে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। চাহিদা বাড়ায় দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে সবজির দাম। ডাল, সবজি, মাছ ও মাংসের দাম স্থিতিশীল। রোববার (১১ জুন) দুপুরে মহানগরীর প্রধান কাঁচাবাজার মেছুয়া বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই বাজারের মুরগি বিক্রেতা রিপন মিয়া বলেন, ‘তীব্র দাবদাহের কারণে ব্রয়লার মুরগি মারা যাচ্ছিল। রোগবালাইয়েরও ভয় ছিল। এজন্য খামারিরা কম দামে মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছিলেন। যে কারণে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছিল। তবে শুক্রবার বৃষ্টি হওয়ায় ও বর্তমানে গরম কিছুটা কমে যাওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করছেন না। যে কারণে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ২০ টাকা করে বেড়ে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে, অন্য মুরগি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।’
তিনি জানান, সাদা কক ২৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৩০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৭০ টাকা ও লেয়ার ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতা শুকুমার সূত্রধর বলেন, দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বেশি। এজন্য ব্যবসায়ীরা মজুত করা পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি করছেন। খুচরা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মেছুয়া বাজারে ভারতের পেঁয়াজ ৫০ টাকা, হল্যান্ড আলু ৩৫ টাকা, দেশি রসুন ১২০ টাকা, ভারতের রসুন ১৪০ টাকা ও আদা ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একই বাজারের মায়ের দোয়া ডিমের দোকানের বিক্রেতা আব্দুর আহাদ বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ১০০ ডিমে ২০ টাকা করে বেড়েছে। তিনি বলেন, ১০০ ফার্মের মুরগির ডিম ১ হাজার ৭০ টাকা, হাঁস ও সোনালি মুরগির ডিম ১ হাজার ২০০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারের সবজি বিক্রেতা হজরত আলী বলেন, আমদানি বেশি হওয়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে।
বাজারে কাকরোল ৪০ টাকা, পটোল ৩০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ২০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, সজনে ডাঁটা ১২০ টাকা, কাঁচকলা ৩০ টাকা হালি, চিচিঙা ৩০ টাকা, ঝিঙে ৩০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ২৫ টাকা পিস, ধুন্দল ৩০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা পিস, ফুলকপি ১০০ টাকা ও বাঁধাকপি ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
একই বাজারের আল-আমিন স্টোরের বিক্রেতা তাইজুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন ধরে ডালের দাম নিম্নমুখী। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের ডালের দাম কেজিতে ২-৩ টাকা করে কমেছে। তিনি বলেন, দেশি মসুর ডাল ১২০ টাকা, ভারতের ডাল ১২৫ টাকা, মাসকলাই ১২০ টাকা, খেসারি ৬৫ টাকা, মুগডাল ১১৫ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা, বুটের ডাল ৮০ টাকা, মটর ডাল ৬৫ টাকা, প্যাকেট আটা ৬২ টাকা ও খোলা আটা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংস বিক্রেতা মোরাদ মিয়া বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে মাংসের বাজার স্থিতিশীল। খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা, ছাগলের মাংস ৮০০ টাকা ও গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মাছ মহালের মাছ বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে মাছের আমদানি ভালো। যে কারণে বাজার স্থিতিশীল।
মেছুয়া বাজারে নদীর পাঁচমিশালি মাছ ৪০০ টাকা কেজি, বাগদা চিংড়ি ৭০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৯০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ টাকা, বাইম ৬০০ টাকা, বেলে মাছ ৪০০ টাকা, গুলশা ৫০০ টাকা, ফলি মাছ ৩৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ টাকা, ট্যাংরা ৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ২৫০ টাকা, পাঙাশ ১৭০ টাকা, রুই মাছ ৩৮০ টাকা, কাতলা মাছ ৩৫৯ টাকা, রাজপুঁটি ২২০ টাকা, রুই মাছ ৩৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, কৈ মাছ ২৫০ টাকা এবং শিং মাছ ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে