বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম

বিশ্ববাজরে জ্বালানি তেলের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে

 বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম
 বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম-প্রথম নিউজ

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : বিশ্ববাজরে জ্বালানি তেলের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকালের দিকে দেখা গেছে, তেলের দাম বেড়েছে দুই শতাংশ। ওপেক প্লাস তাদের উৎপাদন লক্ষমাত্রা একই রকম রাখছে। তাছাড়া রাশিয়ার তেলের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে চীনে করোনার বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হয়েছে। এ কারণেই জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনে করোনার লকডাউন শিথিল করায় তেলের চাহিদা বেড়েছে। তারপরও চীনের নীতি নিয়ে এখনো অনেক বিভ্রান্ত রয়েছে।

সোমবার সকালের দিকে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৭২ সেন্টবা শূন্য দশমিক আট শতাংশ বেড়ে ৮৬ দশমিক ২৯ ডলারে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের মূল্য ব্যারেলপ্রতি ৭০ সেন্ট বা শূন্য দশমিক নয় শতাংশ বেড়ে ৮০ দশমিক ৬৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারকদের সংস্থার নাম হলো ওপেক। রাশিয়াসহ অন্যান্য মিত্রদের নিয়ে গঠিত হওয়ায় এটি হয়েছে ওপেক প্লাস। সংস্থাটি চলতি বছরের অক্টোবরে দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল তেল কম উৎপাদনের ঘোষণা দেয়। তারা এখনো এই নীতিতে অটল অর্থাৎ উৎপাদন বাড়াবে না।

বিশ্লেষকরা জানিয়েছে, ওপেক প্লাস যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা প্রত্যাশিত ছিল। কারণ তারা রাশিয়ার তেলের ওপর পশ্চিমাদের পদক্ষেপের নজর রাখছিল।

ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংকের কমোডিটি রিসার্চের প্রধান ব্যাডেন মুর বলেছেন, ওপেক উৎপাদন একই রকম রাখলেও বাজারে তারা একটা ভারসাম্য রাখবে।

উড ম্যাকেঞ্জির ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান-লুইস হিটল বলেছেন, রুশ তেলের বিকল্প হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে মধ্যপ্রাচ্য, পশ্চিম আফ্রিকা ও যুক্তরাষ্ট্রের তেলের সন্ধান করতে হবে।

এদিকে পশ্চিমাদের বেঁধে দেওয়া তেলের দাম মানতে নারাজ রাশিয়া। শুধু তাই নয়, কীভাবে এর জবাব দেওয়া যায় তার বিকল্প খুঁজছে মস্কো। এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-সেভেনকে সতর্কও করেছে ক্রেমলিন।

ইউক্রেন যুদ্ধের রসদ যোগাতে সস্তায় তেল বিক্রি করছে রাশিয়া, এমন অভিযোগ পশ্চিমাদের। সেকারণে বেঁধে দেওয়া দরে এবার তেল কিনবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো। ইইউ দেশগুলোর সরকার রাশিয়ার সমুদ্রজাত জ্বালানি তেল কেনার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায় বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর)।

গত শুক্রবার জি-৭, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অস্ট্রেলিয়া রাশিয়ার তেলের মূল্য ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলার নির্ধারণ করে দেয়।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom