বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালমার্টের পোশাক ফেরত নেয়ার নির্দেশ কানাডা সরকারের
জর্জ ব্রান্ডের এসব পোশাককে স্বাস্থ্যঝুঁকি হিসেবে উল্লেখ করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালমার্টের ২ লাখ ১৬ হাজারের বেশি তৈরি পোশাক ক্রেতাদের কাছ থেকে ফেরত নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে কানাডা সরকার। জর্জ ব্রান্ডের এসব পোশাককে স্বাস্থ্যঝুঁকি হিসেবে উল্লেখ করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওয়ালমার্ট হলো বৈশ্বিক চেইনশপ। তারা বিশ্বজুড়ে ব্যবসা করে। কানাডায় তাদের কাছ থেকে যেসব ক্রেতা এসব পোশাক কিনেছিলেন, তাদের কাছ থেকে সেই বিক্রি করা পোশাক ফেরত নিতে বলা হয়েছে। বিনিময়ে মূল্য ফেরত দিতেও বলা হয়েছে। কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগের (হেলথ কানাডা) ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এসব পোশাক গাজীপুরে অবস্থিত ইউনিক ডিজাইনার্স কারখানায় তৈরি জর্জ ব্রান্ডের স্লিপার। তা বাজার থেকে তুলে নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বারবার এসব পোশাক ধোয়ার কারণে জিপারের বর্ধিতাংশ ভেঙে যেতে পারে। পায়ের ও গলার গ্রিপ চেপে যেতে পারে।
ফলে সেই পোশাক যদি কেউ পরেন তাহলে দম বন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। গত ৪ঠা অক্টোবর কানাডা সরকার ওয়েবসাইটে এ ব্যাপারে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে যাওয়া জর্জ ব্র্যান্ডের এসব পোশাক ওয়ালমার্টে ফেরত দেয়ার জন্য গ্রাহকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এমন পোশাকের মধ্যে আছে ছেলেদের জর্জ স্লিপার জিআরএস৩০৪০০আইবি, ছেলেদের জর্জ স্লিপার জিআরএস৩০৪০০টিবি, মেয়েদের জর্জ স্লিপার জিআরএস৩০৪০০আইজি এবং মেয়েদের জর্জ স্লিপার জিআরএস৩০৪০০টিজি। এতে আরও বলা হয়, অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন কানাডা কনজিউমার প্রোডাক্ট সেফটি অ্যাক্ট প্রত্যাহার করা এসব পণ্যকে কানাডায় পুনরায় বিতরণ, বিক্রি এমনকি কাউকে দেয়াও নিষিদ্ধ করে। এর প্রেক্ষিতে আরও তথ্যের জন্য ভোক্তাদেরকে ওয়ালমার্ট কানাডা করপোরেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এ জন্য টোলফ্রি টেলিফোন কলের জন্য নম্বর দেয়া হয় ১-৮০০-৩২৮-০৪০২।
ওদিকে স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যম বলেছে, এর প্রেক্ষিতে তৈরি পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, হেলথ কানাডার তথ্যমতে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কারণে পোশাকগুলো প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে এই ভুল বাংলাদেশি প্রস্তুতকারকদের নয়। বাংলাদেশে তৈরি যেকোনো পণ্য স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে তা ক্রেতারা প্রত্যাখ্যান করেন। সুতরাং, রপ্তানিযোগ্য পণ্য অবশ্যই ক্রেতাদের মান ও রপ্তানি বাজারের জন্য প্রাসঙ্গিক আইনের শর্ত পূরণ করে দেশের বাইরে গেছে। বিজিএমইএ আরও বলছে, উল্লেখিত পণ্যগুলো ২০২২ সালের প্রথম দিকে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো হয়েছিল, যা ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত কানাডার খুচরা বাজারে বিক্রি করা হয়।