ফ্লোর প্রাইস-এর ১ বছর : ১৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে

গত এক বছরে একইভাবে ভ্রমণ খাতের কোম্পানি রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার শেয়ারের মুনাফা হয়েছে চার গুণ। অর্ধেক উৎপাদনে থাকা এমারেল্ড অয়েল কোম্পানির শেয়ারেও চার গুণ মুনাফা করেছেন বিনিয়োগকারীরা।

ফ্লোর প্রাইস-এর ১ বছর : ১৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে

প্রথম নিউজ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে যেন ‘আলাদীনের চেরাগ’ নেমে এসেছে। এই প্রদীপের ওপর ভর করে বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের ৫ গুণ ক্যাপিটাল গেইন (মুনাফা) হয়েছে। এই খাতের আরেক কোম্পানি চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের মুনাফা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ গুণ।

গত এক বছরে একইভাবে ভ্রমণ খাতের কোম্পানি রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার শেয়ারের মুনাফা হয়েছে চার গুণ। অর্ধেক উৎপাদনে থাকা এমারেল্ড অয়েল কোম্পানির শেয়ারেও চার গুণ মুনাফা করেছেন বিনিয়োগকারীরা।

অস্বাভাবিক মুনাফার কারণে ‘আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ’ বনে গেছেন অন্তত ৫০ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা। এই ৫০ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা গত এক বছরে শেয়ার প্রতি সর্বনিম্ন ৪০ শতাংশ থেকে ৫২০ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা করেছেন। ঢাকা পোস্টের অনুসন্ধানে এ চিত্র উঠে এসেছে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসহ বেশকিছু ইস্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া দরপতন ঠেকাতে ২০২২ সালের ৩১ জুলাই ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছিল পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিশেষ এ ‘থেরাপি’র এক বছর পূর্ণ হয়েছে গত ৩০ জুলাই (রোববার)।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, প্রথম যেদিন পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয় সেইদিন ২২২ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের যা দাম ছিল, ঠিক এক বছর পর ৩০ জুলাই (রোববার) একই ছিল। অর্থাৎ ফ্লোর প্রাইসের কারণে এই কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম কমেনি। বরং এখান থেকে কোম্পানিগুলো বার্ষিক লভ্যাংশ পেয়েছে।

তবে একই সময়ে ঠিক উল্টো চিত্র ছিল ১৮১টি কোম্পানির শেয়ারে। এক বছরের ব্যবধানে এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম দশমিক ১০ শতাংশ থেকে ৫২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি বিনিয়োগকারীদের দশমিক ১ গুণ থেকে সাড়ে ৫ গুণ ক্যাপিটাল গেইন (মুনাফা) হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ থেকে সাড়ে ৫ গুণ। এই ১৫টি কোম্পানির মধ্যে ১০টি কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের ক্যাপিটাল গেইন হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।

পরের ২৬টি কোম্পানির শেয়ারে মুনাফা হয়েছে ৫০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ। একই সময়ে ২৩ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ মুনাফা করেছে আরও ২৬টি কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা। ১০ শতাংশের বেশি থেকে ২৫ শতাংশ মুনাফা হয়েছে ৪৯টি কোম্পানির শেয়ারে। আর ১ থেকে ১০ শতাংশ মুনাফা হয়েছে ৪৭টি কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের। এছাড়া দশমিক ০৬ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ মুনাফা হয়েছে সাতটি কোম্পানির শেয়ারে।

এদিকে স্কয়ার ফার্মা, ইবনে সিনা ও সিঙ্গারসহ বেশ কিছু ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর ভেঙে আবারও ফ্লোরে অবস্থান করছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের নতুন করে ক্ষতি হচ্ছে না। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফ্লোর প্রাইস না থাকলে ভয়ে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কিনতেন না। আর শেয়ার না কিনলে আজ ১৮১টি কোম্পানি যে মুনাফা পেয়েছে, সেই মুনাফাও পেতেন না। 

তিনি বলেন, মার্কেট এখন সুস্থ, তাই মানুষ ব্যবসা, প্রতিষ্ঠান সবকিছু বুঝে শুনে বিনিয়োগ করছে। এ কারণে ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। মানুষ এখান থেকে যেভাবে প্রফিট টেক (মুনাফা তুলছে) করেছে, এটাই ইন্ডিকেট করেছে যে ফ্লোর প্রাইস পুঁজিবাজারের জন্য কোনো ইস্যু নয়।

গত বছর ফ্লোর প্রাইস আরোপের সিদ্ধান্ত না নিলে এখন ২২২ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো বলে মনে করেন শিবলী রুবাইয়াত। তিনি বলেন, বর্তমানে ২২২টি কোম্পানি ফ্লোরে রয়েছে। এগুলোর মধ্যে দেড় শতাধিক কোম্পানি ফ্লোর প্রাইস ভেঙেছে, এখন আবার ফ্লোরে পড়েছে। এগুলো আবার উঠে আসবে।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বিনিয়োগকারী ও বাজারে চাহিদার আলোকে ফ্লোর প্রাইস দেওয়া হয়েছিল। ফ্লোর প্রাইস না থাকলে প্রচুর ফোর্স সেল হতো। ফোর্স সেল হলে ডিমান্ড সাইটের তুলনায় সাপ্লাই সাইট বেশি থাকত। যে কারণে বাজার ডাউন ট্রেডেও যেতে পারত। বর্তমানে ফ্লোর প্রাইসের কারণে বাজার স্ট্যাবল রয়েছে। অর্ধেক ফ্লোরে আর অর্ধেক ফ্লোরের বাইরে রয়েছে। কিছু কোম্পানি ফ্লোর থেকে উঠছে, আবার ফ্লোরে পড়েছে। এভাবে লেনদেনও এখন ভালো হচ্ছে। তিনি বলেন, মার্জিন ঋণ নিয়ে যারা বিনিয়োগ করেছে তারা ফ্লোর প্রাইসের কারণে সুরক্ষা পেয়েছে। মার্জিন লোন থাকলে যে প্যানিক সেল হতো, সেই প্যানিক সেলের গুজব থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের রক্ষা করা গেছে। এর ফলে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা গেছে। এখন বাজারে লেনদেনের যে গতি এটা আরও ভালো হবে বলে প্রত্যাশা করা যায়।

যা বলছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইর পরিচালক ও সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত বছর যখন ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়েছিল তখন ২৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসের উপরেই লেনদেন হয়েছিল। এ বছর সেটা ৪০ থেকে ৫০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এক বছরে গড়ে ১৫ শতাংশ মুনাফা বেড়েছে দাবি করে তিনি বলেন, এই ফ্লোরের মধ্যেও পুঁজিবাজার মুনাফা দিয়েছে। এই সময়েও লাখ লাখ বিনিয়োগকারীর ভালো মুনাফা হয়েছে। কেনা-বেচা যারা করছে তারা মুনাফা করছে। 

জাতীয় নির্বাচনের আগে ফ্লোর প্রাইস ওঠানোর প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন ডিএসইর সাবেক এ সভাপতি। তিনি বলেন, বাজার ভালো না হওয়া পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইস না তুললে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ যাদের দরকার ছিল তারা গত এক বছরে শেয়ার নানা কায়দায় বিক্রি করে টাকা তুলে নিয়েছে। এখন যারা আছে তারা ধৈর্য ধরে আছে। ফলে বাজার ভালো না হওয়ার আগ পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইস তোলার দরকার নেই। তবে বর্তমান বাজার সুস্থ নয় বলে মনে করছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন। 

তিনি বলেন, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা এই বাজারে দর্শক ছাড়া কিছুই নয়। কিছু বড় বিনিয়োগকারী, প্রাতিষ্ঠানিক এবং কোম্পানির উদ্যোক্তারা মিলে বাজারে সিন্ডিকেট করে কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়াচ্ছে। ফ্লোর প্রাইস থাকা না থাকা এখন বাজারের জন্য সমান। ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে কারসাজি চক্রের জন্য সুবিধা করে দিয়েছে কমিশন। মার্কেট মেকার এবং উদ্যোক্তাদের সরাসরি মদদ ছাড়া এ বাজারে একটি কোম্পানির শেয়ারও মুভ করছে না।  গত এক বছরে ১৮১টি কোম্পানির শেয়ারে মুনাফা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ কোম্পানির মুনাফা হয়েছে ৫ হাজার ৯৩ কোটি টাকা। কোম্পানিগুলো হচ্ছে-

চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স 

গত বছরের ৩০ অক্টোবর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। সেই দিন কোম্পানির শেয়ার ছিল ১১ টাকা। আর এই শেয়ার গত ৩০ জুলাই লেনদেন হয়েছে ৬৭ টাকা ২০ পয়সায়। অর্থাৎ মাত্র ৯ মাসে প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ৫৬ টাকা ২০ পয়সা করে বেড়েছে। যা টাকার অংকে প্রায় সাড়ে পাঁচ গুণ। অর্থাৎ শতাংশের হিসেবে বেড়েছে ৫২০ শতাংশ। শেয়ারের দাম বাড়ায় ৪১ কোটি ২৫ লাখ টাকার মূলধন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২১১ কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের। 

ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স

বিমা খাতের আরেক কোম্পানি ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার চলতি বছরের ১১ মে লেনদেন শুরু হয় ১১ টাকায়। ওই দিন কোম্পানির শেয়ার মূলধন ছিল ৪৪ কোটি টাকা। সেখান থেকে মাত্র আড়াই মাসের ব্যবধানে শেয়ারটির মূল্য ৫২ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে ৬৩ টাকা ৫০ পয়সা হয়েছে। যা শতাংশের হিসেবে বেড়েছে ৪৭৭ দশমিক ২৭ শতাংশ। বা প্রায় পাঁচগুণ। তাতে মূলধন দাঁড়িয়েছে ২৫৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের ২১০ কোটি টাকা ক্যাপিটাল গেইন হয়েছে।

সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা 

৩০ জুলাই ২০২২ সালে ভ্রমণ খাতের প্রতিষ্ঠান রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৪ টাকা। সেখান থেকে এক বছরে শেয়ারটির মূল্য ১৭৬ টাকা বেড়ে গত ৩০ জুলাই লেনদেন হয়েছে ২২০ টাকায়। শতাংশের হিসেবে ৪০০ শতাংশ বেড়েছে। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের মুনাফা বেড়েছে ২ হাজার ১২৫ কোটি টাকা।

এমারেল্ড অয়েল 

গত বছরের ৩০ জুলাই এমারেল্ড অয়েল কোম্পানির শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩০ টাকা। তখন কোম্পানির বাজার মূল্য ছিল ১৭৯ কোটি ১৪ লাখ ৫ হাজার টাকা। সেই শেয়ার গত এক বছরে ১১৭ টাকা ১০ পয়সা বেড়ে চলতি বছরের ৩০ জুলাই লেনদেন হয়েছে ১৪৭ টাকা ১০ পয়সা। তাতে কোম্পানির বাজার মূল্য দাঁড়ায় ৮৭৮ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৮৫০ টাকা। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ১১৭ টাকা ১০ পয়সা বেড়েছে। যা শতাংশের হিসেবে ৩৯০ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীদের মুনাফা হয়েছে ৬৯৯ কোটি টাকা। গত এক বছরে ১৮১টি কোম্পানির শেয়ারে মুনাফা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ কোম্পানির মুনাফা হয়েছে ৫ হাজার ৯৩ কোটি টাকা। 
নাভানা ফার্মা 

নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারের দাম ছিল ২৬ টাকা ৪০ পয়সা। সে সময় কোম্পানির বাজার মূল্য ছিল ২৮৩ কোটি ৫৭ লাখ ৮৮ হাজার ১২৮ টাকা। সেখান থেকে ৭০ টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে ৩০ জুলাই কেনা বেচা হয় ৯৭ টাকায়। তাতে কোম্পানির শেয়ারের মোট মূল্য দাঁড়ায় ১ হাজার ৪১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৩ হাজার ৪৯ টাকা। যা শতাংশের হিসেবে বেড়েছে ৩০৬ দশমিক ৬ শতাংশ। দাম বাড়ায় এক বছরের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীদের মুনাফা হয়েছে ৭৫৮ কোটি টাকা।

খান ব্রাদার্স পিপি 

খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারে ছিল ৯ টাকা ৯০ পয়সায়। ফলে কোম্পানির বাজার মূল্য ছিল ৯৭ কোটি ৯ লাখ ৯০ হাজার ৭৮২ টাকা। এ বছরের ব্যবধানে ৯ টাকার শেয়ার ২৩ টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে ৩০ জুলাই লেনদেন হয়েছে ৩৩ টাকা ৫০ পয়সা। তাতে কোম্পানির বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩২৮ কোটি ৫৬ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭৯ টাকায়। অর্থাৎ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৮ দশমকি ৩৮ শতাংশ। তাতে বিনিয়োগকারীদের মুনাফা হয়েছে ২৩১ কোটি টাকা।

ইসলামী কর্মাশিয়াল ইনস্যুরেন্স

ইসলামী কর্মাশিয়াল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি শেয়ারের মূল্য ছিল ১১ টাকা। সেখান থেকে ২৫ টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৬ টাকা ৬০ পয়সা। তাতে কোম্পানির ২৩২ দশমকি ৭৩ শতাংশ। গত বছর ৩০ জুন কোম্পানির বাজার মূল্য ছিল ৫৫ কোটি ৭১ লাখ ৮০ হাজার ৪২৬ টাকা। সেখান থেকে ১৩০ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৫ কোটি ৩৮ লাখ ৯১ হাজার ২৩৫ টাকা। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের ক্যাপিটাল গেইন হয়েছে ১৩০ কোটি টাকা। দাম বাড়ার শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে জেমিনি সিফুডের শেয়ার ৩১৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৪৮২ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে ৭৯৯ টাকা ২০ পয়সা হয়েছে। অর্থাৎ ১৫২ দশমকি ৫৯ শতাংশ শেয়ারের দাম বেড়েছে।
ওরিয়ন ইনফিউশন 

ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার ১০৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে ২৪৮ টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে ৩৫৫ টাকা ৬০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। তাতে কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩১ দশমিক ৪১ শতাংশ। অর্থাৎ কোম্পানির শেয়ারের মুনাফা হয়েছে ৫০৫ কোটি টাকা।

লিগেসি ফুটওয়ার 

৯০ টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে লিগেসি ফুটওয়ারের শেয়ার ৩৯ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৯০ টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে ১৩০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। অর্থাৎ কোম্পানির শেয়ারের মূল্য বেড়েছে ২২৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। তাতে  বিনিয়োগকারীদের মুনাফা হয়েছে ১১৯ কোটি টাকা। এছাড়াও দাম বাড়ার শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে একটি ফাইন ফুড। এই কোম্পানির শেয়ার ২০২২ সালে ৩০ জুলাই ছিল ৪৪ টাকা ৩০ পয়সা। সেখান থেকে ৭৫ টাকা ১০ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৯ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারটির দাম বেড়েছে ১৬৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ। তাতে বিনিয়োগকারীদের মুনাফা হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা।

রূপালী লাইফের শেয়ার ৬৩ টাকা থেকে ৯৯ টাকা বেড়ে ১২৫ টাকা ৩০ পয়সা হয়েছে। অর্থাৎ গত এক বছরে দাম বেড়েছে ৯৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এভাবেই এই ১০ কোম্পানির শেয়ার থেকে গত এক বছরের বিনিয়োগকারীদের ক্যাপিটাল গেইন বা মুনাফা হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। অন্যদিকে দাম বাড়ার শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে জেমিনি সিফুডের শেয়ার ৩১৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৪৮২ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে ৭৯৯ টাকা ২০ পয়সা হয়েছে। অর্থাৎ ১৫২ দশমকি ৫৯ শতাংশ শেয়ারের দাম বেড়েছে।

জুট স্পিনিংর্সের শেয়ারের দাম ১৫৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে ২৩১ টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯৬ টাকা ২০ পয়সায়। ১৪৬ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়েছে। এপেক্স ফুডসের শেয়ার ১৭০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ২৩৯ টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে  ৪১০ টাকা ৩০ পয়সা হয়েছে। অর্থাৎ ১৪০ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ারের দাম বেড়েছে। এডিএন টেলিকমের শেয়ারের দাম ৫৮ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৭৩ টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে ১৩২ টাকা ৮০ পয়সা হয়েছে। অর্থাৎ ১২৫ দশমকি ৪৭ শতাংশ শেয়ারের দাম বেড়েছে। প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্সের শেয়ার ৬৬ টাকা ২০ টাকা থেকে ৭০ টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে ১৩৬ টাকা ৯০ টাকা হয়েছে।  

অর্ধেক থেকে প্রায় ডাবল দাম বেড়েছে যেসব কোম্পানির শেয়ারের

রূপালী লাইফের শেয়ার ৬৩ টাকা থেকে ৯৯ টাকা বেড়ে ১২৫ টাকা ৩০ পয়সা হয়েছে। অর্থাৎ গত এক বছরে দাম বেড়েছে ৯৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ। মুন্নু এগ্রো অ্যান্ড জেনারেল ম্যানুফেকচারিংয়ের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। এ কোম্পানির শেয়ার ৩১ জুলাই ২০২২ সালে ছিল ৪৬৮ টাকা ৭০ পয়সা। ৩০ জুলাই ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২৩ টাকা। একইভাবে সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার ৯২ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ২৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৫০ টাকা ৫০ পয়সা, ইউনিয়ন ইনস্যুরেন্সের শেয়ার ৮৯ দশমিক ০৬ শতাংশ বেড়ে ৩২ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৬২ টাকা ২০ পয়সা, ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার ৮৮ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়ে ৩৫ টাকা ১০ পয়সার শেয়ার ৬৬ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।