পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর নামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃলা দেব  বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক দুস্থ, অসহায়, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধীদের আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি। অন্য কোনো কিছুকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। এ বিষয়টি নিয়ে যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর নামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর

প্রথম নিউজ, খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদরে মংতু চৌধুরী পাড়ায় সত্য রাণী ত্রিপুরার বসবাস। তার স্বামী রনজিৎ ত্রিপুরা পুলিশে চাকরি করেন। কর্মরত আছেন ফেনী জেলা পুলিশে। এই পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর।

জানা গেছে, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় পুলিশ সদস্য রনজিৎ ত্রিপুরার স্ত্রীর নামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে কেউ থাকেন না। লালন-পালন করা হচ্ছে হাঁস-মুরগি। তারা ভাড়ায় থাকেন পাশের তিন তলাবিশিষ্ট ভবনে। সরেজমিনে মাটিরাঙ্গা সদরের মংতু চৌধুরী পাড়ায় দেখা যায়, পাশের একটি ভবনে ভাড়ায় থাকেন পুলিশ সদস্যের স্ত্রী সত্য রাণী ত্রিপুরা। আর সরকারি ঘরে পালন করা হচ্ছে হাঁস-মুরগি। 

সত্য রাণী ত্রিপুরার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি সবার মতো ঘরের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন। কিছু দিন পর তাকে ফোন করে জানানো হয়, তার ঘর বরাদ্দ হয়েছে। ঘরের কাজ শেষে তার কাছে চাবি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই ঘরে কোনো দিন থাকা হয়নি। সরকারি ঘরে পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। ফলে তারা বাধ্য হয়ে পাশের ভবনে ভাড়া থাকেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃলা দেব  বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক দুস্থ, অসহায়, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধীদের আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি। অন্য কোনো কিছুকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। এ বিষয়টি নিয়ে যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom