প্রেমিকের অফিসে গিয়ে অবস্থান তরুণীর, দৌড়ে পালালেন প্রেমিক ,বিয়ের দাবি

প্রেমিকের অফিসে গিয়ে অবস্থান তরুণীর, দৌড়ে পালালেন প্রেমিক ,বিয়ের দাবি

প্রথম নিউজ, অনলাইন :  বিয়ের দাবিতে সোজা প্রেমিকের অফিসে গিয়ে উঠেন এক তরুণী। এসময় তিনি সেখানে অবস্থান নেন। অবস্থা বেগতিক দেখে নিজ কর্মস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান প্রেমিক আব্দুল মালেক।

ঘটনাটি ঘটে পাবনার ঈশ্বরদীতে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন ওই তরুণী। অভিযুক্ত প্রেমিক আব্দুল মালেক সমাজসেবা অধিদপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত।

ওই তরুণী অভিযোগ করেন, পাঁচ বছর আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের আশ্বাসে তারা বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও রিসোর্টে থেকেছেন। এমনকি তাদের শারীরিক সম্পর্কও হয়। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে ছেলের পরিবারকে বিয়ের কথা জানান ওই তরুণী। তখন তারা ৬ মাস সময় নেন। ৬ মাস পরও বিয়ের কোনো অগ্রগতি না দেখে কয়েকদিন আগে তিনি ছেলের বাড়ি যান। তখন আব্দুল মালেক তাকে কিছুদিনের মধ্যে পালকিতে করে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেন।

তরুণী আরও বলেন, সম্প্রতি মালেক তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। সবেশেষ বুধবার দুপুরে তিনি বিয়ের দাবিতে মালেকের কর্মস্থল ঈশ্বরদী উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেন। পরে সেখানে মালেক ও তার পরিবারের লোকজন ওই তরুণীকে লাঞ্ছিত করেন।

তবে আব্দুল মালেক এ বিষয় অস্বীকার করেন। তিনি জানান, তৃপ্তির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এমন অভিযোগ নিয়ে এসেছে।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান বলেন, ওই তরুণী অফিসে এসে অবস্থান করছেন। এটা তো আমাদের অফিসিয়াল কোনো বিষয় না। এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। তবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে তিনি আমাদের অফিসেরই একজন। কোনো লিখিত অভিযোগ পেলে আমার ঊর্ধ্বতনদের জানাবো এবং বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবো।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।