নাটোরে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ, হাসপাতালে বাড়ছে ভিড়

১০০ শয্যার হাসপাতালে বর্তমানে ইনডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২৬০ থেকে ২৮০ জন রোগী। অন্যদিকে আউট ডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার রোগী। এ রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

নাটোরে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ, হাসপাতালে বাড়ছে ভিড়

প্রথম নিউজ, নাটোর: নাটোরে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত জ্বর, শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি, চর্মরোগ,ডায়রিয়াসহ নানা ধরনের রোগের প্রকোপ। ফলে প্রতিদিনই হাসপাতালে বাড়ছে বয়স্ক ও শিশু রোগীদের ভিড়।

১০০ শয্যার হাসপাতালে বর্তমানে ইনডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২৬০ থেকে ২৮০ জন রোগী। অন্যদিকে আউট ডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার রোগী। এ রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

আজ সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) নাটোর হাসপাতালের বহির্বিভাগে দেখা যায় নারী ও পুরুষ দীর্ঘ লাইন। রোগী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শীত আসার পর ঠান্ডাজনিত জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শীতের কারণে সকাল ৮টার দিকে রোগীর সংখ্যা কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ডাক্তারের রুমের সামনে দীর্ঘ লাইন। কোনো চেয়ার ফাঁকা নেই। অনেকে আবার দাঁড়িয়ে রয়েছেন। চিকিৎসা নিতে আসা নাটোর সদর উপজেলার আচলকোট গ্রামের মজিবর রহমান  বলেন, কয়েক দিন ধরে কাশি হচ্ছে। রাতে ঘুমাইতে পারি না। কাশ ও শ্বাসকষ্ট। এ কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।

ঠান্ডাজনিত সমস্যায় দীর্ঘ দিন ধরে ভুগছেন চৌকিরপাড়ের তপন কুমার দাস। শীত আসলেই সমস্যাটা তার বেড়ে যায়। ডাক্তার দেখানো ছাড়া উপায় থাকে না। তপন বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ওষুধ খেলাম, ভালো হয়নি। এজন্য এখানে ভালো ডাক্তার দেখাতে আসলাম।

শীতের মৌসুমে ঠান্ডা জনিত সমস্যায় ভোগেন প্রায় সব বয়সী মানুষই। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের সংখ্যাই বেশী । নাটোর হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের স্টাফ নার্স রেনু ক্রিষ্টিনা বলেন, তার পুরুষ ওয়ার্ডে বেশিরভাগ রোগীই ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগছেন ।

আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. সামিউল ইসলাম শান্ত জাগো নিউজকে বলেন, শীতের কারণে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, এজমার রোগী বেড়ে গেছে। ১০০ শয্যার হাসপাতালে বর্তমানে ইনডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২৬০ থেকে ২৮০ জন রোগী। ফলে বেশীর ভাগ রোগীদের ফ্লোরে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। শীতজনিত রোগীদের মধ্যে বয়স্ক ও শিশুদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। এদিকে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

তিনি আরও বলেন, রোগী বেশি হলেও হাসপাতালে কোনো ওষুধ সংকট নেই। শতকরা ৯৫ ভাগ ঔষধ হাসপাতাল থেকেই দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom