না’গঞ্জের সোনারগাঁ থানার সাবেক ওসি ও এসআই কারাগারে

সোনারগাঁ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম ও উপপরিদর্শক (এসআই) সাধন বসাকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত

না’গঞ্জের সোনারগাঁ থানার সাবেক ওসি ও এসআই কারাগারে
না’গঞ্জের সোনারগাঁ থানার সাবেক ওসি ও এসআই কারাগারে
প্রথম নিউজ, নারায়ণগঞ্জ :পুলিশি হেফাজতে ব্যবসায়ীকে নির্যাতনের অভিযোগে করা একটি মামলায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম ও উপপরিদর্শক (এসআই) সাধন বসাকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস-শামস্ জগলুল
হোসেন এই আদেশ দেন। জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে করা একটি মামলার তদন্ত শেষে গত ৯ ফেব্রুয়ারি আদালত ওসি মোরশেদ আলম ও এসআই সাধন বসাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এই দুই আসামি
হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছিলেন। রোববার তারা জজ কোর্টে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁয়ের ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান আলমগীর,স্থানীয় যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম স্বপন ও বাবুলসহ ৩ ব্যক্তিকে ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর মধ্যরাতে থানায় নিয়ে নির্যাতন করা হয়। ওই সময় সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিলেন, মোরশেদ আলম ও সেকেন্ড
অফিসারেরদায়িত্বে ছিলেন উপপরিদর্শক সাধন বসাক। ওই ঘটনায় ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান আলমগীর ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ)আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তদন্ত শেষে গত ৯ ফেব্রুয়ারি আদালত ওসি মোরশেদ ও এসআই সাধনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে জেলা ও দায়রা জজ আদালত। মামলার বাদী ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান আলমগীর বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধেরজেরে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে আমাদের তিনজনকে ওসি মোরশেদ আলম ও এসআই সাধন বসাক বাসা থেকে তুলে থানায় নিয়ে হাত, পা ও চোখ বেঁধে
নির্যাতন করেন।
এ সময় আমি অচেতন হয়ে পড়লে আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেন। সাবেক ওসি ও এসআই জাহিদুল ইসলাম স্বপনের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ক্রসফায়ারে দিয়ে হত্যারও হুমকি দেন
তারা। এ ঘটনায় জাহিদুল ইসলাম স্বপন আদালতে এ দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। আসামিরা আমাকে সাক্ষী না দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দেন। পরে আমি নিজে বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করি।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: