ধানক্ষেতে মরদেহ মিললেও নারীর খণ্ডিত মাথা খুঁজছে পুলিশ
মরদেহ উদ্ধারের পর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
প্রথম নিউজ, খুলনা: খুলনার ফুলতলায় ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার হওয়া মুসলিমা খাতুনের খণ্ডিত মাথা এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের পর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
গত বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে মুসলিমার মস্তকবিহীন দেহ উদ্ধারের পর তারা মাথাটি উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ। তবে কোথাও তা পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় নিহত নারীর বড় বোন বাদী হয়ে বুধবার রাতে ফুলতলা থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হননি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, নিহত নারীর নাম মুসলিমা খাতুন (২০)। বাড়ি সাতক্ষীরায়। সাত বছর ধরে তারা ফুলতলা উপজেলায় ভাড়া থাকতেন। মুসলিমা স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন।
পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে ফুলতলার উত্তরডিহি এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে এক নারীর মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে অজ্ঞাত পরিচয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হলেও দুপুরের দিকে নিহত নারীর দুই বোন লাশের হাত-পা দেখে সেটি শনাক্ত করেন। পরে মুসলিমার বড় বোন আকলিমা বেগম এ ঘটনায় মামলা করেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাদের ভাড়া বাসায় গিয়ে মুসলিমাকে খুঁজে পাননি। এরপর লোক মারফত বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে রাতে আকলিমার মুঠোফোনে একটি খুদে বার্তা (এসএমএম) পাঠায় মুসলিমা। তাতে লেখা ছিল, অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জন যুবক তাকে একটি বাগানে আটকে রেখেছেন। সকালে ধানক্ষেতে নারীর মরদেহ পড়ে থাকার কথা শুনে মুসলিমার বোনেরা তার পরিচয় শনাক্ত করেন।
ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস তালুকদার বলেন, হত্যার পর তার পরিচয় যেন কেউ শনাক্ত করতে না পারে সে জন্য মাথা অন্য কোথাও সরিয়ে ফেলেছে অপরাধীরা। পুলিশ তার কাটা মাথাটি খোঁজার চেষ্টা করছে। ইলিয়াস তালুকদার বলেন, মামলাটি একেবারে সূত্রহীন নয়। এ কারণে তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: