দিল্লি যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জি-২০ বৈঠক এবং রাইসিনা ডায়ালগে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন তিনি। তবে বৈঠক দু’টির সাইডলাইনে তার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি হচ্ছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক।

দিল্লি যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দিল্লি যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রথম নিউজ, অনলাইন: তিন দিনের সফরে ১লা মার্চ নয়াদিল্লি যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। জি-২০ বৈঠক এবং রাইসিনা ডায়ালগে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন তিনি। তবে বৈঠক দু’টির সাইডলাইনে তার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি হচ্ছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক। ওই বৈঠকে রাজনীতি, অর্থনীতি, বিদ্যমান বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতাসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। উল্লেখ্য, জি-২০ এবং রাইসিনা ডায়ালগে অংশ নিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এন্থনি জি ব্লিঙ্কেনও নয়া দিল্লি সফর করবেন। সাইডলাইনে ব্লিঙ্কেন ভারতসহ বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে তার অনানুষ্ঠানিক বা অনুষ্ঠানস্থলে সাক্ষাৎ হবে-এটা প্রায় নিশ্চিত। তবে ঢাকার তরফে একান্ত বৈঠকের চেষ্টা রয়েছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে- নতুন বছরে দিল্লিতে আয়োজিত প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘রাইসিনা ডায়ারগে’ যোগ দেবেন আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রী এন্থনি জে ব্লিঙ্কেন।

মার্চের প্রথম সপ্তাহে ওই কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার পর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেবেন। এরপর যোগ দেবেন জি-২০ এবং ‘কোয়াডের’ (ভারত, আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে গঠিত চতুর্দেশীয় অক্ষ) বিদেশমন্ত্রী স্তরের বৈঠকে। আমেরিকার বিদেশ দপ্তরের তরফে এ কথা জানিয়ে বলা হয়েছে, আগামী ১-৩রা মার্চ ৩ দিনের ভারত সফরে ‘রাইসিনা সংলাপ’, জি-২০ এবং ‘কোয়াড’ বৈঠকে যোগ দেবেন ব্লিঙ্কেন। দিল্লির বৈঠকগুলোতে ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ধাক্কা লাগা সামগ্রিক অর্থনীতিতে স্থিতাবস্থা ফেরানো নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সেই সঙ্গে চীনের উপর চাপ বাড়িয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ঋণের বোঝা কমানোর উপায় খোঁজা নিয়েও কথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শ্রীলঙ্কার দেউলিয়া হওয়ার উদাহরণ তুলে ধরে আমেরিকাসহ পশ্চিমা দুনিয়ার বক্তব্য, চীন যেহেতু কম ও মাঝারি আয়ের দেশগুলোকে বিপুল ঋণ দিয়েছে, সেগুলো আংশিক মওকুফ করার কথা ভাবুক। পাশাপাশি, বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকটের সমাধানে ১,৩৫০ কোটি ডলারের (প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা) সহায়তা কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: