ড্রাইভিং পেশার আড়ালে মাদকের কারবার

নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত দুইটি সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করা হয়।

ড্রাইভিং পেশার আড়ালে মাদকের কারবার

প্রথম নিউজ, চট্টগ্রাম: সিএনজি অটোরিকশায় পরিবহনকালে ১৭৩ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই চালক মো.আহাম্মদ উল্লাহ প্রকাশ নাইম ও মো. নুর উদ্দিনসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭।  

নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত দুইটি সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করা হয়।  প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ড্রাইভিং পেশার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে মাদকের কারবার করছে তারা।

ফেনী, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ফেনসিডিল ও গাঁজা স্বল্প দামে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের কাছে অধিক মূল্যে বিক্রয় করে আসছে তারা।  
এছাড়া নগরের পৃথক এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫৪ কেজি গাঁজাসহ ১ জন আন্তজেলা মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।   গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সিএনজি অটোরিকশা চালক মো.আহাম্মদ উল্লাহ প্রকাশ নাইম (৩০) ও মো. নুর উদ্দিন (৩২), মো. এসকান্দার (২৮) ও ময়না (৩৫)।  

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক তাপস কর্মকার বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা ফেনীর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ফেনসিডিল সংগ্রহ করে দুইটি সিএনজি অটোরিকশাযোগে নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় প্রবেশ করার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (২৩ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে চান্দগাঁও আবাসিক সি-ব্লক রোডে চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি করা হয়।  

এ সময় দুইটি সিএনজি অটোরিকশা এক সঙ্গে আসতে দেখে সন্দেহজনক হলে থামানোর সংকেত দিলে তারা দ্রুতগতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সিএনজি অটোরিকশা দুটির চালক আহাম্মদ উল্লাহ ও নুর উদ্দিন এবং এসকান্দারকে গ্রেফতার করা হয়। অটোরিকশা দুটির পিছনে সিটের নিচে থেকে দুইটি প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর থেকে ১৭৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশা দুটি জব্দ করা হয়।  

তিনি আরও বলেন, চকবাজার থানার পূর্ব ষোলশহরে একটি টাওয়ারের পাশে গলিতে গাঁজা বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করার তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে অভিযান চালিয়ে এ-পি নাজমা টাওয়ার থেকে ময়না নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। ময়নার হেফাজতে থাকা তিনটি প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর থেকে ৫৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।