জি২০ অর্থমন্ত্রীরা যৌথ বিবৃতি দিতে ব্যর্থ হলেন
কড়া ভাষায় রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে জি২০ একটি বিবৃতি তৈরি করে। এর অংশবিশেষ মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় বেইজিং।
প্রথম নিউজ, ডেস্ক: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। এ কারণে ভারতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক দেশগুলোর সংগঠন জি২০-এর অর্থমন্ত্রীরা শেষ পর্যন্ত একটি সমাপনী যৌথ বিবৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে আরও বলা হয়, কড়া ভাষায় রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে জি২০ একটি বিবৃতি তৈরি করে। এর অংশবিশেষ মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় বেইজিং। ওদিকে মস্কোর অভিযোগ, জি২০’কে অস্থিতিশীল করে তুলেছে রাশিয়া বিরোধী পশ্চিমা দেশগুলো। এ সপ্তাহে যুদ্ধ বন্ধের জন্য একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে চীন। এই পরিকল্পনাকে রাশিয়াপন্থি হিসেবে দেখা হচ্ছে। এরপরই চীন ওই বিবৃতিতে সায় দেয়া থেকে বিরত থাকে।
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ব্যাঙ্গালোরে এ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয় জি২০র এই সম্মেলন। সেখানে অর্থমন্ত্রীরা যৌথ বিবৃতি দেয়ার পরিবর্তে বিস্তৃত একটি ‘চেয়ারস সামারি’ প্রকাশ করেছে। বলা হয়েছে, ইউক্রেন ইস্যুতে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মূল্যায়ন পাওয়া গেছে। ফুটনোটে বলা হয়েছে, দুটি প্যারাগ্রাফে বলা হয়েছে রাশিয়া ও চীন ছাড়া সব সদস্যদেশ যুদ্ধ বিষয়ক প্রস্তাবে সম্মত হয়েছিল। এই প্যারাগ্রাফ গ্রহণ করা হয়েছে ‘জি২০ বালি লিডারস ডিক্লেয়ারেশন’ থেকে নভেম্বরে। এতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া ফেডারেশনের আগ্রাসনের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে।
এক বছর আগে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানো থেকে চীন পশ্চাৎধাবন করেছে। তারা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোকে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করেছে। এ সপ্তাহে ইউরোপকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তার পরিকল্পনাকে উষ্ণ স্বাগত জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। এ সপ্তাহে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ১২ দফা পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে চীন। এর মধ্যে আছে শান্তি আলোচনার আহ্বান এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধার কথা। তবে এই ১২ দফার মধ্যে সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি, ইউক্রেন থেকে রাশিয়াকে অবশ্যই সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানানো হয়নি। রাশিয়া একে স্বাগত জানালেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন- পুতিন এতে আহ্লাদিত। তাহলে কিভাবে এটা ভাল কিছু হলো?
জি২০র এই মিটিংয়ের পর ভারতের সিনিয়র একজন কর্মকর্তা অজয় শেঠ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ইউক্রেন নিয়ে যে শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে তা মেনে নিতে পারেননি রাশিয়া ও চীনের প্রতিনিধিরা। তাদের ম্যান্ডেট ছিল অর্থনীতি এবং আর্থিক ইস্যুতে। অন্য ১৮টি দেশ মনে করেছে এই যুদ্ধের বড় প্রভাব পড়ছে বিশ্বে। তা এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন। এতে তুরস্কের সাম্প্রতিক ভয়াবহ ভূমিকম্প, নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঋণ, বৈশ্বিক ট্যাক্স পলিসি এবং খাদ্য অনিরাপত্তার ইস্যু আছে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: