চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমালে শরীরে যা ঘটে
সবাই একইভাবে ঘুমান না। একেকজনের ঘুমানোর অভ্যাস একেক রকম
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : সবাই একইভাবে ঘুমান না। একেকজনের ঘুমানোর অভ্যাস একেক রকম। কেউ চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমাতে ভালোবাসেন, কেউ মুখ না ঢেকে। কিন্তু যারা চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমান, তাদের এই অভ্যাসের কারণে অনেক সময় বড়দের কাছে বকুনি খেতে হয়। তারা মনে করেন, এতে শরীরে অনেক সমস্যা হতে পারে। আসলেই কি তাই? চলুন জেনে নেওয়া যাক চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমালে শরীরে কী ঘটে-
আপনি যখন চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমাবেন তখন সেখানে বিশুদ্ধ বাতাস ঢুকতে বাধা পাবে। যে কারণে আপনি বঞ্চিত হবেন বিশুদ্ধ বাতাস থেকে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আপনার ফুসফুস। এখন চিন্তা করে দেখুন চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস পরিবর্তন করবেন কি না।
কেউ চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমালে তার ত্যাগ করা কার্বন ডাই অক্সাইড খুব বেশি দূরে যেতে পারে না। ফলে চাদরের ভেতরে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। সেইসঙ্গে কমে আসে অক্সিজেনের পরিমাণ। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সুতরাং চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাসকে ভালো অভ্যাস বলা যাচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চাদর মুড়ি দিয়ে থাকার কারণে শ্বাসকষ্ট হলে বড়রা তা সরিয়ে ফেলতে পারলেও ছোটরা কিন্তু পারে না। তাই খেয়াল রাখুন শিশুর ক্ষেত্রে এই অভ্যাস যেন গড়ে না ওঠে। বিশেষ করে পাঁচ বছরের নিচে শিশুর ক্ষেত্রে এই ভুল করা যাবে না। অ্যাজমা একটি ক্রনিক সমস্যা। সাধারণত অ্যালার্জি থেকে অ্যাজমা হয়ে থাকে। এই রোগে তীব্র শ্বাসকষ্ট হয়। তাই যাদের অ্যাজমা রয়েছে তারা চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস বাদ দিন। কারণ এই অভ্যাসের ফলে মারাত্মক শ্বাসকষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঘুমের ভেতর নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয়ে থাকে। ফলে ঘুম ভেঙে যায় হঠাৎ হঠাৎ। এ ধরনের রোগীরা চাদর বা কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমালে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। যে কারণে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। তাই এ ধরনের অভ্যাস থাকলে তা বদলাতে হবে।
যাদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা থাকে তাদের জন্য চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস ক্ষতিকর। কারণ তাদের ধুলো-বালি, ময়লায় খুব বেশি সমস্যা হয়। এসবের কারণেই দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। তাই কম্বল বা চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন। নয়তো পরবর্তীতে বড় সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: