গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি
প্রথম নিউজ, ঢাকা : গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সংসদ ভেঙ্গে দেওয়াসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে গণমুক্তি জোট।
বুধবার (১১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
গণমুক্তি জোটের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে- মন্ত্রিসভা ছোট করতে হবে ও মন্ত্রিসভায় বিরোধী দলগুলোর প্রতিনিধি যুক্ত করতে হবে; স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনতে হবে; নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে আইন সংশোধন করতে হবে যাতে সরকার নির্বাচন কমিশনের আদেশ নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য থাকে; সব নির্বাচনে পোলিং এজেন্ট প্রথা বাতিল করতে হবে; প্রবাসীদের অনলাইনে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং সব নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব নির্বাচন কর্মকর্তাকে দিতে হবে।
মানববন্ধনে জোটের প্রধান সমন্বয়কারী আবু লায়েস মুন্না বলেন, গত কয়েকদিন ধরে পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারছি নির্বাচন কমিশন ডিসিদের কাছে সহায়তা চাইছে এবং তা দেওয়ার জন্যও ডিসিরা কথা দিচ্ছেন। আমরা এরকম সহায়তার কথা বলছি না। আমরা বলছি- নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার প্রশ্নে নির্বাচনকালীন সময়ে স্বরাষ্ট্র এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কমিশনের অধীনে দেওয়ার সুনির্দিষ্ট আইন পাস করতে হবে। বর্তমানে দেশে প্রায় অর্ধশত দল নিবন্ধিত। এছাড়াও অনেকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে যদি একটি কেন্দ্রে ৫০ জন প্রর্থী থাকে এবং তাদের ৫০ জন পোলিং এজেন্ট থাকে তাহলে ভোটারদের প্রভাবিত করতে এবং ভোট সেন্টার থেকে বালট বাক্সে জাল ভোট দিতে আর কিছুই লাগে না। তাই এই প্রথা বাতিল করতে হবে। যেহেতু নির্বাচন করে নির্বাচন কমিশন তাই নির্বাচন কর্মকর্তাকেই রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন গণমুক্তি জোটের চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, কো-চেয়ারম্যান মো. আকতার হোসেন, ড. ছরোয়ার হোসেন, মো. মমতাজ উদ্দিন মজুমদার প্রমুখ।