খেলাপি থাকা বিমান সংস্থাগুলোর অস্তিত্ব নেই: প্রতিমন্ত্রী
আজ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকালে জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে সরকারি দলের এমপি হাবিবর রহমানের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: বাংলাদেশ বিমানের পাওনা রয়েছে এমন অনেক বেসরকারি বিমান সংস্থার অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। আজ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকালে জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে সরকারি দলের এমপি হাবিবর রহমানের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এসময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। বৃহস্পতিবারের প্রশ্ন উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
প্রতিমন্ত্রী জানান, পাওনা টাকা পুনরুদ্ধারের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু কিছু এজেন্ট দেউলিয়া হয়ে যাওয়ায় এবং লিকুইডেশন প্রক্রিয়ায় থাকার কারণে উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। অনেক এজেন্টের দেওয়া ঠিকানায় যোগাযোগ করে তার কোনো অফিস/অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। কিছু এজেন্টদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, ট্রাভেল এজেন্টের কাছে বাংলাদেশ বিমানের পাওনা (খেলাপি) ১২ কোটি ৩০ লাখ ৯২ হাজার ২২৩ টাকা। কার্গো এজেন্টের কাছে পাওনা এক কোটি ৬৮ লাখ ৪৭ হাজার ৯৮০ টাকা। এর আগে গতকাল বুধবার (১ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিমান সংস্থাগুলোর সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলোর কাছ থেকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পাওনা টাকা আদায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি।
কমিটির বৈঠকে জানানো হয়, দেশের চারটি বেসরকারি এয়ারলাইনসের কাছে বেবিচকের পাওনা এক হাজার ২২২ কোটি টাকা। রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কাছে ৪০৮ কোটি টাকা, জিএমজি এয়ারলাইনসের কাছে ৩৯৪ কোটি টাকা, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের কাছে ৩৮৮ কোটি টাকা এবং নভো এয়ারের কাছে ২৯ কোটি টাকার বেশি পাওনা রয়েছে বেবিচকের। তবে ইউএস বাংলা ও এয়ার এস্ট্রার কাছে কোনো পাওনা নেই। এই সংস্থাগুলোর মধ্যে নভো এয়ার, ইউএস বাংলা ও এয়ার এস্ট্রা এখন কার্যক্রম পরিচালনা করে। অসম প্রতিযোগিতার কারণে টিকে থাকতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছে বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলো।