খালেদা জিয়া আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন, প্রত্যাশা সমমনা জোটের
আজ শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়সংলগ্ন আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে একদফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে গণমিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এমন প্রত্যাশার কথা জানান ড. ফরহাদ।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেছেন, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি ও যুগপতের শরিকরা জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাবে। তখন বেগম খালেদা জিয়া আবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। আর ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সর্বোচ্চ ২০ থেকে ২৫টি সিট পেতে পারে।
আজ শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়সংলগ্ন আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে একদফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে গণমিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এমন প্রত্যাশার কথা জানান ড. ফরহাদ।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের এই সমন্বয়ক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো প্রহসনের নির্বাচনের পায়তারা করছে। কিন্তু জনগণ জেগে উঠেছে, তারা আর এ ধরনের কোনো নির্বাচন হতে দেবে না। নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হতে হবে।
ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। একদফার আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণ ইতোমধ্যে এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছে। ফলে ছয়-নয় করে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা যাবে না। সরকারের পতন অতি সন্নিকটে।
এনপিপির চেয়ারম্যান বলেন, দফা এক দাবি এক- শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ। অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ এবং নির্বাচন কমিশন ও সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়।
এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন-জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মওলা চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ আলম, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির চেয়ারম্যান সুকৃতি কুমার মন্ডল, এনপিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য নবী চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফখরুজ্জামান প্রমুখ।
জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান বলেন, আজকে গণতন্ত্র ধ্বংস করে বিএনপিসহ বিরোধী দলের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু হামলা-মামলা, অত্যাচার-নির্যাতন করে লাভ হবে না। এই সরকারকে যেতেই হবে। কারণ, এদের পতনের জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছে।
সমাবেশ শেষে ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে গণমিছিল শুরু হয়। মিছিলটি পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে পুনরায় আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।