কিডনি ঠিক রাখতে যা যা খাবেন
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ মানুষই কিডনির কোনও না কোনও রোগে ভুগে থাকেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাসে সচেতনতার অভাবেই দেখা দেয় কিডনির নানা রোগ। তাই আক্রান্ত হওয়ার আগেই তৈরি করে নিন খাদ্যতালিকা। কিডনি বাঁচাতে উপকারী খাবারগুলোর নাম ও গুণের কথা জানালেন ড. শাহলা রোশনী।
ফুলকপি
ভিটামিন সি, কে এবং বি-ফোলেটসহ অনেক পুষ্টির ভালো উৎস ফুলকপি। এটি কিডনিকে প্রদাহ থেকে বাঁচায়।
লাল আঙুর
রসালো এ ফলে আছে ভিটামিন সি ও ফ্ল্যাভানয়েডের মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা কিডনির পাশাপাশি হৃদযন্ত্রকেও সুস্থ রাখে।
ডিমের সাদা অংশ
ডিমের সাদা অংশ ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনে ভরপুর। এতে প্রচুর ফসফরাস ও অ্যামিনো অ্যাসিড আছে যা কিডনির বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে।
পেঁয়াজ
কিডনি সুস্থ রাখার অন্যতম খাবার হলো পেঁয়াজ। এতেও প্রচুর ফ্ল্যাভানয়েড আছে যা রক্তের চর্বি দূর করে।
লাল ক্যাপসিকাম
লাল ক্যাপসিকামে থাকা পটাশিয়াম কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই সবজির মধ্যে ভিটামিন সি, এ, ভিটামিন বি-৬, ফলিক অ্যাসিড ও ফাইবারও রয়েছে।
আপেল
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, কে, আঁশ ও বিভিন্ন খনিজ উপাদানে ভরপুর আপেল। আপেলে থাকা পেকটিন কিডনির ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
মাশরুম
মাশরুমে আছে প্রচুর সালফার সরবরাহকারী অ্যামাইনো অ্যাসিড, নিউক্লিক অ্যাসিড এবং অ্যান্টি অ্যালার্জেন।
ছোট মাছ
ছোট ও সামুদ্রিক মাছে প্রচুর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে যা নানা ধরনের প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং কিডনিকে সুস্থ রাখে।
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েলে আছে ওলিক অ্যাসিড এবং অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ফ্যাটি অ্যাসিড। যা অক্সিডেসন কমিয়ে কিডনি সুস্থ রাখে।
পালং শাক
পালং শাকে থাকা বিটা ক্যারোটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া ডায়েটে পালং শাক রাখলে তা কিডনির গার্ড হিসেবে কাজ করে।
বাধাকপি
ফুলকপির মতো বাধাকপিও কিডনির উপকারে আসে। এতে রয়েছে ভিটামিন বি৬, সি, কে, ফাইবার ও ফলিক অ্যাসিড। শরীরে পটাসিয়ামের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে এটি।
রসুন
আরও অনেক গুণের পাশাপাশি রসুন কোলেস্টেরল কমায়। পক্ষান্তরে যা কিডনিরই উপকার করে।
মুলা
কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে শীতকালীন সবজিটি। এটি মূত্রবর্ধক প্রাকৃতিক উপাদানে সমৃদ্ধ। এ ছাড়া রক্তে বিষাক্ত পদার্থের পরিমাণও কমায় এটি।
আনারস
কিডনির সমস্যা হলে অনেকেই ফলমূল খাওয়া বন্ধ করে দেন। তথাপি আনারস কিডনিবান্ধব ফল। এটি কিডনিতে পাথর তৈরির ঝুঁকি কমায়।