কখন কি যে হয় বলা যায় না: ওবায়দুল কাদের
গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পরিস্থিতি কখন কী হয় বলা যায় না। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কী হবে সেটি বোঝা যাচ্ছে না। সবকিছু মিলে ২০২৪ সালে কী রেজাল্ট হচ্ছে তা বলা যাচ্ছে না। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিটস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, কথা বেশি না বলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে রাতারাতি বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। বিশ্ব পরিস্থিতির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। সেতুমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শত্রুতা করে বা সম্পর্ক নষ্ট করে রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চায় না বাংলাদেশ। ভিন্ন কৌশলে রূপপুরের জন্য বেশকিছু জিনিস আনা হয়েছে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শত্রুতা না হয়।
বিএনপি’র কর্মসূচি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই যে আপনি প্রশ্নটা করলেন। আপনার সহকর্মীরা হাসছে।মানুষ তো হাসে, ঘোড়াও হাসে। তিনি বলেন, সরকার তো গত ২৮শে অক্টোবরই পড়ে যায় ইলেকশন করতে পারবে না। ইলেকশন করলে সরকার গঠন করতে পারবে না, সরকার গঠন করলে সরকার টিকবে না। প্রথম বলা হয়েছিল পাঁচদিনও টিকবে না, পরে বলা হয়েছিল ১৫ দিনও টিকবে না। নির্বাচন হয়েছিল ৭ই জানুয়ারি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি রাজনীতিতে ভুল করেছে। তারা এখন নিষ্ক্রিয়। বিএনপি এখনো একটা বড় দল। রাজনীতিতে তারা ভুল করেছে, ভুলের চোরাবালিতে তারা আটকে আছে। রাজনীতিতে তাদের ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে। দল হিসেবে আমি তাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করিনি। করা উচিতও না। বিরোধীদল আছে, থাকবে। কার অবস্থান কখন জনগণের চোখে কী হবে, জনগণ কাকে কী চোখে দেখবে- সেটা সময়ের পরিবর্তনে সবকিছু স্পষ্ট হবে।
বিএনপি থেকে অভিযোগ করা হয়েছে তাদের ১৩ নেতাকর্মী জেলখানায় মৃত্যুবরণ করেছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৩ জনের তালিকাটা প্রকাশ করুক। তাদের ১৩ জন মারা গেল তা আমার জানা নেই।’
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা ফিরে যাবেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই তারা নিয়ে যাবে। আলাপ-আলোচনা আছে। ফিরিয়ে নেবে সেই বিষয়ে দ্বিমত নেই। এ ব্যাপারে কোনো প্রকার লবিং করার দরকার নেই।
এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রিসভার পরিধি বাড়বে কিনা এটি প্রধানমন্ত্রী বলতে পারেন। তবে সময়মতো কিছু, যেমন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়; এগুলোয় কোনো না কোনো সময় মন্ত্রী আসবেন। সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনের পর নির্বাচিতদের মধ্য থেকে কেউ কেউ মন্ত্রী হতে পারেন।