এমবাপের পাশে ফ্রান্স ফুটবল, পিএসজিকে হুমকি
প্রথম নিউজ, স্পোর্টস ডেস্ক: নতুন মৌসুম শুরুর আগে কিলিয়ান এমবাপের দলবদলের আলোচনায় গুমোট পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে প্যারিসিয়ান সেইন্ট জার্মেইতে (পিএসজি)। তাকে বাইরে রেখেই ক্লাবটি প্রাক-মৌসুম এশিয়া সফরের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। গুঞ্জন উঠেছে দলবদলের জন্য আগ্রহী এমবাপের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে চাপ দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএসজি। তবে বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ডের পাশে দাঁড়িয়েছে ফ্রান্সের ন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ প্রফেশনাল ফুটবলার্স (ইউএনএফপি)।
আগামী মৌসুম পর্যন্ত ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে ২৪ বছর বয়সী এই তারকার চুক্তি থাকলেও, তিনি আর ক্লাবটিতে খেলতে আগ্রহী নন। আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসি ক্লাবটি ছাড়ার পরই নিজের এই ইচ্ছার কথা জানান এমবাপে। মেসিই তাকে পিএসজি ছাড়ার পরামর্শ দিয়ে যান বলে এর আগেই গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল।
এরপরই মূলত এমবাপে ক্লাব ছাড়ার কথা জানিয়ে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন। কিন্তু সেটি মানতে নারাজ পিএসজি। এমনকি ১০ বছর মেয়াদে বড় অঙ্কের অভাবনীয় মূল্যে এমবাপে রাখার প্রস্তাবও দিয়েছে ক্লাবটি। যদিও সেই বিষয়ে এমবাপের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। দেশটির সংবাদমাধ্যম ডিফেন্স সেন্ট্রালের দাবি, ফরাসি ফরোয়ার্ডকে ইতোমধ্যে ১০ বছর মেয়াদি ১০০ কোটি ইউরোর এক প্রস্তাব দিয়েছে পিএসজি। এ প্রস্তাব মেনে নিলে ৩৪ বছর বয়স পর্যন্ত প্যারিসেই থাকবেন এমবাপে। ধারণা করা হচ্ছে, খেলাধুলার ইতিহাসে এটাই হবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় চুক্তি!
এমবাপের সম্পর্কের অবনতি দেখে পিএসজিকে সতর্ক করে বিবৃতি দিয়েছে ফুটবলারদের সংগঠন ইউএনএফপি, ‘অন্য সব পেশাদার কর্মীদলের মতো সব খেলোয়াড়েরও একইরকম কাজের পরিবেশ প্রাপ্য। ইউএনএফপি অনুভব করছে, সব ম্যানেজারকে এটা মনে করিয়ে দিতে হবে যে, কাজের পরিবেশকে বাধাগ্রস্থ করে কোনো কর্মীকে চাপে রাখা- উদাহরণস্বরূপ, নিয়োগ কর্তার চাওয়া অনুযায়ী কর্মীকে কোনো কিছুতে রাজি হতে বা ছাড়তে বাধ্য করা- এসব কাজ নৈতিক হয়রানির মধ্যে পড়ে এবং ফরাসি আইনে তা গভীরভাবে নিন্দনীয়।’
এরপরই ফরাসি জায়ান্ট ক্লাবটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়াঁরি দিয়েছে সংস্থাটি, ‘কোনো ক্লাব এই ধরনের আচরণ করলে, ইউএনএফপির অধিকার আছে তাদের বিরুদ্ধে নাগরিক ও ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার।’
গত ৫ বছরেই ফ্রান্সের লিগ ওয়ানের সর্বোচ্চ স্কোরার এমবাপে। তাকে দলে ভেড়াতে কয়েক বছর ধরেই রিয়াল মাদ্রিদের প্রস্তাব দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু দফায় দফায় এমবাপের বেতন বাড়িয়ে সেই আলোচনা থামিয়ে রাখে পিএসজি। সর্বশেষ মৌসুম শেষ হতেই রিয়ালের সঙ্গে তার চুক্তির বিষয়ে নতুন করে সম্ভাবনা তৈরি হয়। যদিও তা নিয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো অগ্রগতির বিষয় জানা যায়নি।