ইসরায়েলকে গাজায় নারী-শিশু হত্যা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: ট্রুডো

ইসরায়েলকে গাজায় নারী-শিশু হত্যা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: ট্রুডো

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা প্রায় দেড় মাস ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই প্রায় ৮ হাজার।এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নারী, অল্পবয়সী ছেলে-মেয়ে এবং শিশু হত্যা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় দেড় মাস আগে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনায় সরব হলেন ট্রুডো। যদিও হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে বলে এর আগে জানিয়েছিল কানাডা।

তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মিত্রদের মতো কানাডাও এখন গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ক্রমবর্ধমান মৃতের সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।


মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘আমি ইসরায়েল সরকারকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর জন্য অনুরোধ করছি। সারা বিশ্ব টিভিতে, সোশ্যাল মিডিয়াতে সব কিছু দেখছে। আমরা ডাক্তার, পরিবারের সদস্য, বেঁচে যাওয়া মানুষসহ বাচ্চাদের যারা তাদের বাবা-মাকে হারিয়েছে তাদের কথা শুনছি।’

পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বই নারী, অল্পবয়সী ছেলে-মেয়ে ও শিশুদের হত্যার এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করছে। এটা বন্ধ করতে হবে।’

ট্রুডো আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে হামাসকে। একইসঙ্গে আটককৃত সকল বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। সংঘাত শুরুর পর গাজা থেকে প্রায় ৩৫০ কানাডিয়ান নাগরিক, স্থায়ী বাসিন্দা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে গত সপ্তাহে হামাসের হাতে আটক সকল বন্দিকে মুক্তি এবং বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের জন্য পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা সরবরাহের সুযোগ দিতে চলমান সংঘাতে মানবিক বিরতির আহ্বান জানিয়েছিলেন কানাডার এই প্রধানমন্ত্রী।


উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া ইসরায়েলের এই বিমান হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনও অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে।

ফিলিস্তিনি সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১১ হাজার ৩২০ জনে পৌঁছে গেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৪ হাজার ৬৫০ জনই শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও তিন হাজারের বেশি।