ইউক্রেন বাদ দিয়ে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা নয়: কমালা হ্যারিস

ইউক্রেন বাদ দিয়ে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা নয়: কমালা হ্যারিস

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইউক্রেন ইস্যু বাদ দিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কোনো আলোচনা করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস। সিবিএস ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। নিজের অস্ত্রের মালিকানা নিয়েও এতে কথা বলেছেন। আগামী ৫ই নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কমালা এবং রিপাবলিকান দল থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ফলে প্রচারণার জন্য এখন তাদের হাতে সময় আছে এক মাসেরও কম। 

এ সময়ে এটা ডেমোক্রেট প্রার্থীর দ্বিতীয় পরিকল্পিত সাক্ষাৎকার। উপস্থাপক বিল হোয়াটেকারের প্রশ্নের জবাবে কমালা  বলেন, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে এবং জাতিসংঘের সনদের অনুপস্থিতিতে এই যুদ্ধের সফল ইতি ঘটতে পারে না। এ সময় তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পেকে ঘায়েল করতে বলেন, যদি এখন ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকতেন তাহলে দেখা যেতো পুতিন কিয়েভে বসে আছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি ইউক্রেনকে দখল করে নেয়া বুঝিয়েছেন। ইউক্রেনকে কি পশ্চিমা নিরাপত্তা জোট ন্যাটো সম্প্রসারণে ইউক্রেনকে অন্তর্ভুক্ত করাকে সমর্থন করতেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কমালা বলেছেন, সে অবস্থা সামনে এলে তখন সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে। গত মাসে ঘোষণা দিয়েছেন যে, একটি অস্ত্রের মালিক তিনি।

সোমবার সে বিষয়ে আরও বিস্তারিত বলেছেন। তিনি বলেন, তার কাছে যে অস্ত্রটি আছে তা হলো একটি আধা-স্বয়ংক্রিয় পিস্তল। কমালা অস্ত্রের বিষয়ে বলেন, হ্যাঁ অবশ্যই আমার কাছে অস্ত্র আছে। কখনো তা থেকে গুলি ছুড়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ফায়ারিং রেঞ্জে। জানিয়েছেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় কাজ করার সময় তিনি এই অস্ত্রের মালিক হয়েছেন। এর আগে গত মাসে তিনি অপরাহ উইনফ্রেকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। যদি কোনো ব্যক্তি তার বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করেন তাহলে তাকে তিনি গুলি করবেন। কিন্তু কমালা ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করেন। অন্যদিকে রিপাবলিকানরা অস্ত্রের অধিকার চাইছেন। এমন অবস্থায় কমালার কাছে অস্ত্র থাকার ঘোষণায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন।