অবিলম্বে গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের আহ্বান গণসংহতি আন্দোলনের
বুধবার দলটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এই আহ্বান জানান।
প্রথম নিউজ, ঢাকা : অবিলম্বে গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। বুধবার দলটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এই আহ্বান জানান। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, গ্যাস-বিদ্যুৎসহ জ্বালানি পণ্যের মূল্য নির্ধারণের এখতিয়ার একমাত্র বিইআরসি’র হাতেই থাকতে হবে। জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দাম বৃদ্ধি করা বা মূল্য নির্ধারণ করা চলবে না।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, জনগণের পকেট কাটতে এবং লুটপাটের টাকার যোগান দিতে সরকার আবারও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। জনগণের কথা, দেশের কথা বিবেচনায় না নিয়ে কয়েকদিন আগে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। বিইআরসিকে গণশুনানির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে গ্যাস-বিদ্যুৎসহ জ্বালানি পণ্যের মূল্য নির্ধারণের এখতিয়ার দিলেও সেটাকে কেড়ে নেয়া হয়েছে। সরকার প্রতি মাসে যখন খুশি তখন দাম বাড়ানোটাকে নিরঙ্কুশ করতেই মন্ত্রণালয়ের হাতে এই ক্ষমতা নিয়ে নেয়। সরাসরি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক গ্যাস-বিদ্যুৎসহ কৌশলগত জ্বালানি পণ্যের নির্ধারণের এই প্রক্রিয়া চরম অগণতান্ত্রিক এবং বাস্তবে এটা আইনি প্রক্রিয়ায় লুটপাটের একটা রাস্তা মাত্র।
তারা বলেন, দেশের বর্তমান উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রায় ৫০ শতাংশ গ্যাসের মাধ্যমে উৎপাদিত হয়ে আসছে। গ্যাসের দাম বাড়লে আবারও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি অপরিহার্য হয়ে পড়বে। দাম বৃদ্ধির খেলায় মেতে উঠেছে সরকার।এসময় তিনি দেশের সমস্ত মানুষ এবং সকল রাজনৈতিক দলকে সরকারের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলনে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সরকার একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিতে পারছে। কারণ এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। জনগণের কাছে তাদের কোনো দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা নেই। শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর অর্থ হচ্ছে দেশের অর্থনীতিকে আরো ভয়াবহতার মুখে ঠেলে দেয়া। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, মাঝারি শিল্প এবং বৃহৎ শিল্প সবখানে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৩ গুণ বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। আগে যা ছিল ১২ টাকার কম।
একদিকে সরকার গুম-খুন, অপহরণ, বিরোধী-মত দমন, গ্রেপ্তার, হামলা-মামলাসহ জনগণের সমস্ত অধিকার হরণ করে চলেছে। অন্যদিকে গ্যাস-বিদ্যুৎ তেলসহ নিত্য-প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্রের দাম বৃদ্ধি করে জনগণের পকেট কাটছে। জনগণের টাকায় গড়ে তোলা রাষ্ট্রীয় কোষাগার উজাড় করে সেই টাকা বিদেশে পাচার করছে ঘনিষ্ঠজনরা। এরকম জবরদস্তি ও জবাবদিহিতাহীনভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। শাসনতন্ত্রের পরিবর্তন না ঘটালে ফ্যাসীবাদী আওয়ামী লীগ সরকার জনগণকে ভবিষ্যতে আরো ভয়াবহ বিপদের মুখে ফেলে দেবে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: