অপহরণের পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল ব্যবসায়ীর মরদেহ

এ ঘটনায় জড়িত থাকায় সজলের বন্ধু আরিফুল হক চৌধুরী রিপনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

অপহরণের পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল ব্যবসায়ীর মরদেহ

প্রথম নিউজ, রাজশাহী: রাজশাহীতে অপহরণের পর মুক্তিপণ না পাওয়ায় মাহফুজুর হোসেন সজল (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে অপহরণকারীরা। অপহরণের ১০ দিন পর বুধবার (১১ অক্টোবর) রাতে নিহত সজলের মরদেহ সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় সজলের বন্ধু আরিফুল হক চৌধুরী রিপনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত সজলের বাড়ি রাজশাহী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম মুন্সিপাড়া এলাকায়। তার বাবার নাম মোহাম্মদ মর্তুজা হোসেন। গ্রেপ্তার আরিফুল হক চৌধুরী রিপন (৪০) নাটোরের লালপুর উপজেলার আবদুলপুর গ্রামের মৃত হামিদুল হকের ছেলে। রাজশাহীর শাহ মখদুম থানার সন্তোষপুর মহল্লার এক বাসায় ভাড়া থাকতেন রিপন। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) বিজয় বসাক এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, নিহত সজল ও রিপন দুই বন্ধু। তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। সজলের বাবা মর্তুজা হোসেন বুধবার (১১ অক্টোবর) নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১ অক্টোবর সুজনকে অপহরণ করা হয়েছে। সজলকে ফিরিয়ে দিতে অপহরণকারী প্রথমে এক কোটি এবং পরে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। ওই জিডির পর নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জানতে পারে, মুক্তিপণ দাবি করা ব্যক্তির অবস্থান রিপনের ভাড়া বাসায়। এরপর রিপনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন রিপন জানায়, অপহরণের পরদিন ২ অক্টোবর রিপনকে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পরে বুধবার রাতে কাশিয়াডাঙ্গা ও শাহ মখদুম থানা এবং ডিবি পুলিশ রিপনকে নিয়ে তার ভাড়া বাসায় অভিযানে যায়। এ সময় রিপনের দেখানো সেপটিক ট্যাংকি থেকে সজলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় রিপনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেছেন নিহত সজলের বাবা। সজলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।