৪৮ প্রভাষকের ৭ম গ্রেডের বেতন ফেরত দেওয়ার আদেশ স্থগিত
প্রথম নিউজ, ঢাকা: সদ্য সরকারিকরণ হওয়া কলেজের ৪৮ প্রভাষককে সরকারিকরণের পর থেকে সপ্তম গ্রেডে বেতন বা এমপিও হিসেবে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার আদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে সরকারিকরণ করা কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮ বিধি-৯ অনুযায়ী অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রভাষকদের বেতন স্কেল বিদ্যমান জাতীয় বেতন স্কেলের সংশ্লিষ্ট গ্রেডের প্রারম্ভিক ধাপে নির্ধারণ করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বুধবার (১৯ জুলাই) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফরহাদ হোসেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ আটজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রাজশাহী তানোরের ড. আব্দুল করিম ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ফজলুল হকসহ বিভিন্ন জেলার ৪৮ প্রভাষকের দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বলেন, রিটকারীরা ২০১৮ সালে সরকারিকরণ হওয়া ২৯৮টি কলেজের মধ্যে সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ এবং শাল্লা ডিগ্রি কলেজের সরকারিকরণের আগে নিয়োগ পেয়ে কর্মরত রয়েছেন। তারা এমপিও নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রভাষক পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ার পর নবম গ্রেডে এমপিওভুক্ত হন। তারপর প্রভাষক পদে আট বছর পূর্তির পর একটি সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্ত হলে তাদের বেতন স্কেল নবম গ্রেড থেকে সপ্তমে আপগ্রেড হয়। তারা সপ্তম গ্রেডে বেতন/এমপিও সুবিধা ভোগ করতে থাকেন।
২০১৮ সালে সরকারি করা কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা-২০১৮ জারি করে সরকার। সেই বিধিমালার বিধি ৯ অনুযায়ী অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা, সংশ্লিষ্ট কলেজ সরকারিকরণের তারিখ থেকে বিদ্যমান জাতীয় বেতন স্কেলের সংশ্লিষ্ট গ্রেডের প্রারম্ভিক ধাপে স্ব-স্ব পদের বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবে।
পরবর্তী সময়ে সরকারি করা কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা-২০১৮ অনুযায়ী তাদের কলেজ দুটি সরকারিকরণ হয়। পরে ২০২৩ সালে তাদের অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু বিধি ৯ এর কারণে তাদের বেতন স্কেল সপ্তম গ্রেডের পরিবর্তে নবম গ্রেডে নির্ধারণ করা হয়। যার ফলে তারা বৈষম্যের শিকার হন। এখন কলেজ সরকারিকরণের পর থেকে থেকে পিটিশনারদের সপ্তম গ্রেডে বেতন/এমপিও হিসেবে গৃহীত অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়ার জন্য আদেশ জারি করেছেন।
বারবার বিবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো ফলাফল না পেয়ে তারা ওই রিট পিটিশন দায়ের করেন।