১০০ কোটি বাজেটের সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়েছে

১০০ কোটি বাজেটের সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়েছে

প্রথম নিউজ, বিনোদন ডেস্ক: ১০০ কোটি রুপি বাজেটের (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩২ কোটি টাকারও বেশি) সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়েছে- বিষয়টি কারও কারও কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। তবে এটি সত্য।

বিষয়টি একটু খোলাসা করেই জানা যাক- ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে একটা বড় পরিবর্তন এসেছে। এখন দক্ষিণী সিনেমাও বড় বাজেটে তৈরি হচ্ছে বলিউডের মতো। তবে পাল্টে গিয়েছে অন্য একটা দিকের অবস্থা।

করোনাকালে লকডাউনের সময় থেকেই স্টারডমে এসেছে পরিবর্তন। শুধু মাত্র নায়ককে দেখে হলমুখী দর্শকের ভিড় এখন কম। সবাই বিষয়বস্তুর দিকে নজর দিতে বেশি উৎসাহী।

অনেক সময়ই দেখা যায় প্রিয় নায়কের সিনেমা দেখার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। অগ্রিম বুকিং হচ্ছে টিকিট। তার ফলে কোনো সিনেমার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়তো দারুণ আকর্ষণীয় হলো। বক্স অফিসে সংগ্রহও ভালো হলো। কিন্তু তারপর আর ভালো ব্যবসা করতে পারল না ওই সিনেমা। কারণ পরবর্তী সংগ্রহ নির্ভর করছে বিষয়বস্তু এবং পর্যালোচনার উপর।

চলতি বছরে অনেক বড় বাজেটের সিনেমা ফ্লপ হয়েছে। অনেক বড় নায়কও সাফল্য পাননি। চলতি বছর তেমনই একটি দক্ষিণী সিনেমাটি ব্যর্থ হয়েছে। অনেক বড় বাজেটের সিনেমা হয়েও প্রথম দিনে বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে।

গত ২৮ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছিল বড় বাজেটের দক্ষিণী সিনেমা ‘এজেন্ট’। সুরেন্দ্র রেড্ডি পরিচালিত তেলুগু সিনেমাটি স্পাই অ্যাকশন ফিল্ম ঘরানার। কাহিনিকার ভাককান্থাম ভামসি। সুপারস্টার নাগার্জুনার ছোট ছেলে অখিল আক্কিনেনি ছিলেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে।

এছাড়াও ছিলেন মালায়ালাম তারকা মামুটি এবং বলিউড অভিনেতা ডিনো মোরিয়া। তেলুগু সিনেমায় সাক্ষী বৈদ্য এবং ডিনো মোরিয়ার প্রথম অভিযান ছিল এটি। কিন্তু সফল হয়নি। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এ সিনেমার ঘোষণা হয়েছিল। তারপর হায়দরাবাদ, বুদাপেস্ট, বিশাখাপত্তনম এবং মানালির বিভিন্ন এলাকায় চলে শুটিং। করোনা মহামারির কারণে সিনেমাটি রিলিজ করতে বেশ দেরি হয়।

‘এজেন্ট’ সিনেমাটি বেশ নেতিবাচকভাবেই সমালোচনা করা হয়েছে। বক্স অফিসের ব্যর্থতার কারণে প্রযোজক অনিল সানকারা এবং আক্কিনেনিকে ক্ষমা চাইতেও বলা হয়েছিল। তারা অবশ্য স্বীকার করে নেন, স্ক্রিপ্টের গোলমালের কারণেই সিনেমাটি মুখ থুবড়ে পড়ে।

সিনেমাটি তৈরিতে করতে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৮০-১০০ কোটি রুপি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩২ কোটি রুপিরও বেশি। কিন্তু এক সপ্তাহ চলার পর ঘরে এসেছিল মাত্র ১০-১৪ কোটি রুপি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৮ কোটির টাকার মতো। দর্শকের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় এ ঘটনা ঘটেছে। দক্ষিণী সুপারস্টার নাগার্জুনের ছেলেও শোচনীয়ভাবে ফ্লপ হয়েছেন।