সোলাইমানির স্মরণ অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরণের মূলহোতা চিহ্নিত

আজ বৃহস্পতিবার ওই বোমা হামলার মূলহোতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়।

সোলাইমানির স্মরণ অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরণের মূলহোতা চিহ্নিত

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: সোলাইমানির স্মরণ অনুষ্ঠানে দুটি বোমা বিস্ফোরণের মূলহোতা তাজিকিস্তানের নাগরিক আলিয়াস আবদোল্লাহ তাজিকি। আজ বৃহস্পতিবার ওই বোমা হামলার মূলহোতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়। ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানায়, ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় যাকে প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তিনি তাজিকিস্তানের নাগরিক আলিয়াস আবদোল্লাহ তাজিকি। গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত দিয়ে তিনি ইরানে প্রবেশ করেন। পরে হামলার জন্য বোমাগুলো তৈরি করে বিস্ফোরণের দুই দিন আগেই তিনি ইরান ত্যাগ করেন।

দুই আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর মধ্যেও একজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে আইআরএনএ। ওই হামলাকারীর বিষয়ে বলা হয়েছে, ২৪ বছর বয়সি ওই যুবকের তাজিকিস্তান ও ইসরাইলের নাগরিকত্ব রয়েছে। আফগানিস্তানে আইএস জঙ্গিদের কাছে কয়েক মাস প্রশিক্ষণের পর ওই যুবকও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত দিয়ে ইরানে প্রবেশ করছিল।

৩ জানুয়ারি ইরানে দেশটির সাবেক জেনারেল কাসেম সোলাইমানির স্মরণ অনুষ্ঠানে দুটি বোমার বিস্ফোরণে অন্তত ৯৪ জন নিহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের পরদিন এ হামলার দায় স্বীকার করে দীর্ঘ বিরতির পর নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয় ইসলামিক স্টেট (আইএস)।  ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, সোলাইমানির স্মরণ অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণের জন্য যাকে প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তিনি একটি বোমা তৈরি চক্রের নেতৃত্ব দেন।

ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ২০২০ সালে ইরাকে অবস্থান করার সময় মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছিলেন। ৩ জানুয়ারি ছিল তার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে নিজের শহর কেরমানে অবস্থিত সোলাইমানির সমাধি এলাকায় হাজারও মানুষের সমাগম হয়। এই সমাগমকেই লক্ষ্যবস্তু করেন দুই আত্মঘাতী। প্রথম বোমাটি বিস্ফোরণ ঘটানোর পর এতে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করার জন্য যখন সবাই ব্যস্ত ঠিক তখনই দ্বিতীয় বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

কর্তৃপক্ষ এবার দ্বিতীয় বোমা হামলাকারীর পরিচয় বের করার চেষ্টা করছে। যদিও হামলার দায় স্বীকার করতে গিয়ে আইএস ইতিপূর্বে দুই হামলাকারীর নাম প্রকাশ করেছিল। আইএসের তথ্য অনুযায়ী, তাদের একজনের নাম ওমর আল-মোবাহেদ এবং অন্যজন সেইফ-আল্লাহ আল-মুজাহেদ। বিস্ফোরণের ঘটনায় ইরানি কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন রাজ্য থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।