সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদান, যা বললেন এরদোগান

ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে একই সঙ্গে আবেদন করেছিল দুই নর্ডিক রাষ্ট্র ফিনল্যান্ড ও সুইডেন

সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদান, যা বললেন এরদোগান

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে একই সঙ্গে আবেদন করেছিল দুই নর্ডিক রাষ্ট্র ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। একমাত্র তুরস্কের আপত্তির কারণে সামরিক জোটটির সদস্যপদ লাভ করতে পারছিল না স্টকহোম ও হেলসিংকি। সন্ত্রাসীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগে দেশ দুটির সদস্য হতে আপত্তি জানায় আঙ্কারা। 

এ জন্য দুই দেশকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার শর্ত দিয়েছিল তুরস্ক। কিন্তু ফিনল্যান্ড ব্যবস্থা নিলেও সে পথে হাঁটেনি সুইডেন। ফলে ফিনল্যান্ড তুরস্কের সমর্থন নিয়ে ন্যাটোর পতাকা উড়াতে সক্ষম হলেও আটকে আছে সুইডেনের আবেদন। মনে করা হয়েছিল, তুরস্কের নির্বাচনের পর সুইডেনের গিট্টু খুলতে পারে। কিন্তু সে আশায় গুঁড়েবালি। 

নতুন মেয়াদের নির্বাচিত হওয়ার পরও সুইডেনের ব্যাপারে নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে অনুমোদন দেবে না আঙ্কারা।

আগামী মাসের প্রথম দিকে লিথুয়ানিয়ার ভিলিনিয়াস শহরে সামরিক জোট ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। অনেকে আশা করছিলেন, ভিলিনিয়াস শীর্ষ সম্মেলনে ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য সুইডেনকে সমর্থন দেবে তুরস্ক। কিন্তু তার আগেই নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন তুর্কি নেতা।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আবারও বলেছেন, আগামী মাসে ন্যাটোর ভিলিনিয়াস শীর্ষ সম্মেলনে সদস্যপদের জন্য সুইডেনের আবেদন সমর্থন করবেন না। 

এরদোগান বলেন, সুইডেন যতক্ষণ পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ না করবে, ততদিন পর্যন্ত দেশটির ন্যাটোর সদস্যপদ প্রাপ্তির বিরোধিতা করবে তুরস্ক।

ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড এবং ন্যাটোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বুধবার তুর্কি কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তার আগে এসব কথা বলেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। 

এরদোগান সাংবাদিকদের বলেন, সন্ত্রাসীরা সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আঙ্কারার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে, আর ন্যাটো জোটের মহাসচিব জেমস স্টলটেনবার্গ আমাকে সদস্যপদ দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি তুলে নিতে রাজি করানোর চেষ্টা করছেন। এ অবস্থায় আমরা এখন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিষয়টি দেখতে পারি না।

প্রসঙ্গত, তুরস্কের বিচ্ছিন্নতাকামী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে (পিকেকে) রাষ্ট্রের জন্য হুমকি মনে করে দেশটি। পিকেকে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা বহুদিন থেকেই সুইডেন এবং স্ক্যান্ডেনেভিয়ান কয়েকটি দেশে অবস্থান করছে। দেশগুলো তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ তুরস্কের।