যুক্তরাষ্ট্র-দ. কোরিয়ার ২৪০ যুদ্ধবিমানের মহড়া

যুক্তরাষ্ট্র-দ. কোরিয়ার ২৪০ যুদ্ধবিমানের মহড়া
যুক্তরাষ্ট্র-দ. কোরিয়ার ২৪০ যুদ্ধবিমানের মহড়া

প্রথম নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রায় ৫ বছরের মধ্যে প্রথম সোমবার যৌথভাবে আকাশপথে বড়ধরনের মহড়া চালিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। এতে অংশ নেয় কমপক্ষে ২৪০টি যুদ্ধবিমান। এ ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটলো যখন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। উত্তর কোরিয়া আরেকটি পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করতে পারে এমন আশঙ্কার মধ্যে এমন মহড়ায় অংশ নিচ্ছে দুই দেশ। এই মহড়ার নাম দেয়া হয়েছে ‘দ্য ভিজিল্যান্ট স্টর্ম’। এ খবর দিয়েছে রাশিয়ার অনলাইন আরটি। ধারণা করা হচ্ছে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত এই মহড়া স্থায়ী হবে। এতে যুক্ত থাকছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় ১৪০টি যুদ্ধবিমান। এর মধ্যে আছে এফ-৩৫এ স্টিলথ যুদ্ধবিমান, এফ-১৫কে এবং কেএফ-১৬ যুদ্ধবিমান। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র পাঠিয়েছে প্রায় ১০০ যুদ্ধবিমান। এর মধ্যে আছে এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমান। বিপুল সংখ্যক ইলেকট্রনিক ওয়্যারফেয়ার, ট্যাংকার বিমান, বহু উঁচুতে চলমান যুদ্ধবিমান ইউ-২। এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। তাদের মোতায়েন করার কথা কেসি-৩০এ ট্যাংকার ট্রান্সপোর্ট। 

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর মতে, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১৬০০ অভিযান চালাবে। এটা হবে বার্ষিক ভিত্তিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মহড়া। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার বিমানবাহিনী বলেছে, উত্তর কোরিয়ার উস্কানির জবাবে উভয় পক্ষ অপারেশন এবং কৌশলগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। উল্লেখ্য, এমন মহড়া প্রথম অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৫ সালে। তখন এই অপারেশনের নাম দেয়া হয়েছিল ‘ভিজিল্যান্ট এইস’। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করেন। ফলে ২০১৮ সালে এই মহড়া স্থগিত করা হয়। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, তারা কৌশলগত অস্ত্রের পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এতে পারমাণবিক অস্ত্র লুকানো ছিল। কিছুদিন ধরে উত্তর কোরিয়া আরও দাবি করে আসছে যে, তারা ধারাবাহিকভাবে অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রও পরীক্ষা করেছে তারা। 

এর প্রেক্ষিতে উত্তর কোরিয়াকে সাবধান করেছে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। বলেছে, আরেকটি পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালালে অসম জবাব দেয়া হবে। সর্বশেষ ২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়া তাদের পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ওদিকে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ মহড়ার নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। একে তারা আগ্রাসনের রিহার্সেল বলে অভিহিত করেছে। আরও বলেছে, ওয়াশিংটন এবং সিউল যে তাদের বিরুদ্ধে শত্রুতামুলক নীতি গ্রহণ করেছে এই মহড়া তারই প্রমাণ। তারা মনে করে কোরিয়া দ্বীপাঞ্চলে যেকোনো কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের যুক্ত হওয়ার অর্থই হলো নিরাপত্তা হুমকিতে থাকা।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom