মেসি ক্ষমা চাইলেন

অনুমতি না নিয়ে সৌদি আরব সফরে যাওয়ায় লিওনেল মেসিকে দুই সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করে ফরাসি ক্লাব পিএসজি।

মেসি ক্ষমা চাইলেন

প্রথম নিউজ, খেলা ডেস্ক: অনুমতি না নিয়ে সৌদি আরব সফরে যাওয়ায় লিওনেল মেসিকে দুই সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করে ফরাসি ক্লাব পিএসজি। পরবর্তীতে এক ভিডিও বার্তায় সতীর্থ ও ক্লাবের কাছে ক্ষমা চান মেসি। এরপর তাকে অনুশীলনেও ফিরতে দেখা যায়। তবে পুরো ঘটনা এত মসৃন ছিল না। ওই কয়দিনে পর্দার আড়ালে ঘটে অনেক ঘটনা। এবার সেগুলোই ফাঁস করে ফরাসি সংবাদমাধ্যম ‘আরএমসি স্পোর্ট’। সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু নিষেধাজ্ঞা নয় তখনই মেসির সঙ্গে চুক্তিও বাতিল করার হুমকি দেয় পিএসজি। সেই সূত্রে চুক্তি বাতিলের আগে খেলোয়াড়ের সঙ্গে বৈঠকে বসার একটি চিঠিও দেওয়া হয় মেসিকে।

ওই চিঠি পেয়েই নড়েচড়ে বসেন মেসির ঘনিষ্ঠরা। দ্রুত দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতার উদ্যোগ নেন। আসলে মধ্যস্থতা ছাড়া আর কোনো রাস্তা খোলা ছিল না। কারণ, পিএসজির আইনজীবীর পক্ষ থেকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছিল তাতে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ ছিল না মেসির আইনজীবীর। ফলে মেসির ঘনিষ্ঠজনদের মূল লক্ষ্য ছিল চুক্তি বাতিল না করে মেসিকে অনুশীলনে ফেরানো। প্রথমে মেসি ও পিএসজির আইনজীবী গোপনে যোগাযোগ করেন। সেখানেই মেসির আইনজীবীর পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ক্ষমা চাওয়ার পর অনুশীলনে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয় পিএসজিকে। 

এরপর গত ৫ মে ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে মেসি ক্ষমা চেয়ে ভিডিও বার্তা দেন/ সেখানে তিনি বলেন, ‘প্রথমত আমি সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চাইছি। ভেবেছিলাম, ম্যাচের পর সব সময়ের মতো দলে ছুটি থাকবে। এ সফর আগে থেকেই ঠিক করা ছিল, এটা আমি বাতিল করতে পারিনি। আগেও এ সফর বাতিল করেছি আমি।’ 

এর চার দিন পর পিএসজিতে ফিরে একাই অনুশীলন করেন মেসি। পরের দিন যোগ দেন দলীয় অনুশীলনে। এরপর নিজের কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসে পিএসজি। চুক্তি বাতিল নয় বরং মেসিকে নতুন করে চুক্তি নবায়নের প্রস্তাব দেওয়ার প্রস্তুতি নেয় দলটি।