বাংলাদেশের তরুণীকে ভারতে নিয়ে পতিতাবৃত্তি, আজ আদালতের রায়
প্রথম নিউজ, ঢাকা : কাজের কথা বলে নিজের বোনকে খুলনা থেকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিল বড় বোন। পরে নারী দালালের কাছে পতিতালয়ে বোনকে বিক্রি করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার নিষিদ্ধপল্লির দালাল কোহিনুর বিবি ওরফে রত্না বিবিকে গতকাল শুক্রবার দোষী সাব্যস্ত করেছে কলকাতা নগর দায়রা আদালত। আজ (শনিবার) সাজা ঘোষণা হবে।
ভারতের সরকারি আইনজীবী জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘কোহিনুরের বিরুদ্ধে একাধিক কিশোরী-তরুণীকে দেহ ব্যবসায় নামানোর অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যেই একটি মামলা থেকে সে খালাস পেয়েছে। কিন্তু এই মামলায় আইনের ফাঁক গলে পালাতে পারেনি সে। তার বিরুদ্ধে এমন আরও দু’টি মামলা ঝুলে রয়েছে।’
২০১৪ সালের কথা। দেহ ব্যবসার দালাল এই মক্ষীরানিকে নিয়ে মাথাব্যথা ছিল পুলিশের। অভিযোগ, কিছু মানুষের আশীর্বাদ তার মাথার ওপর থাকায় তাকে ধরতে পারছিল না পুলিশ। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে বারবার নাম, ঠিকানা বদল করছিল সে। তবে বেশিদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারেনি। ধরা পড়েন কোহিনুর। তারপর থেকে সে জেল হেফাজতেই ছিল।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ২০১৪ সালে কলকাতার একটি ঘর থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। পরে বিচারকের কাছে ‘গোপন জবানবন্দি’ দেন ওই তরুণী। কিন্তু নির্যাতিতা নির্যাতনের শিকার তরুণীর বোনের এখনও কোনো সন্ধান মেলেনি।
মামলার তদন্তকারী অফিসার সাধনকুমার ঘোষ বলেন, যদি ওই তরুণীর বোন ধরা পড়ে, তখন আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যেতে পারে। যেহেতু সে ধরা পড়েনি, তাই শুধু কোহিনুরের বিরুদ্ধেই এই মামলা চলে। সরকারি আইনজীবী বলেন, তরুণীর সাক্ষ্যপর্ব শেষ হলে তাকে বাংলাদেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়। কোহিনুর এদিন আদালতে বারবার দাবি করেন, তাকে পুলিশ মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।