বিরোধী দলের প্রতি পুলিশের আচরণ নিষ্ঠুর ও অমানবিক: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলের সাম্প্রতিক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বেআইনিভাবে বলপ্রয়োগ করা হচ্ছে জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বাংলাদেশ সরকারকে ভিন্ন মতের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ বন্ধ করারও আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া বিরোধী দলের প্রতি পুলিশের আচরণ নিষ্ঠুর ও অমানবিক বলেও আখ্যা দেওয়া হয়। নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি।
এ দিকে এর দুদিন আগেই বুধবার (২ আগস্ট) বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী রাজনৈতিক মতের ওপর শক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
অ্যামনেস্টি বলেছে, গত ৩০ জুলাই ঢাকায় নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর অস্ত্রের ব্যবহার করেছে পুলিশ। ধোলাইখাল এলাকায় বিক্ষোভে বিরোধী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরও তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ ঘটনাগুলো প্রমাণ করে— বিরোধী দলের প্রতি পুলিশের আচরণ নিষ্ঠুর ও অমানবিক। বিক্ষোভের দিনের ৫৬টি ছবি ও ১৮টি ভিডিও পর্যালোচনা করেছে সংস্থাটি। এছাড়া প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য থেকে এসব ঘটনার সত্যতা পাওয়ার কথা জানিয়েছে অ্যামনেস্টি।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার অন্তর্বর্তী আঞ্চলিক পরিচালক স্মৃতি সিং বলেন, বিক্ষোভে ঢাকার মাতুয়াইলে ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড অ্যান্ড মাদার হেলথ হাসপাতালের কাছে (মা ও শিশু হাসপাতালে) কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। অথচ হাসপাতালের কাছাকাছি বা আশপাশে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা উচিৎ নয়। বাংলাদেশের পুলিশ হাসপাতালের পাশে যে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করছে তা আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি অবহেলা।
বাংলাদেশ সরকারকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর আইনের প্রতি আনুগত্যের নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাই। একই সঙ্গে জনগণের বাকস্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার দেওয়া উচিৎ।