বন্দিদের ছেড়ে না দেওয়া পর্যন্ত গাজায় খাবার-পানি-জ্বালানি বন্ধ

বন্দিদের ছেড়ে না দেওয়া পর্যন্ত গাজায় খাবার-পানি-জ্বালানি বন্ধ

প্রথম নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের কাছে থাকা বন্দিদের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত গাজা উপত্যকার সব সুবিধা বন্ধ থাকবে বলে হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। তিনি বলেছেন, হামাস সমস্ত বন্দিকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত অবরুদ্ধ গাজায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বা মানবিক সহায়তাসহ কোনো মৌলিক সংস্থানের অনুমতি দেওয়া হবে না।

হুমকির এ বাণী ইসরায়েল কাটজ দিয়েছেন মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে। পোস্টে তিনি লেখেন- গাজায় মানবিক সাহায্য? অপহৃত ইসরায়েলিকরা বাড়ি ফিরে না আসা পর্যন্ত কোনো বৈদ্যুতিক সুইচ চালু করা হবে না; পানির কোনো কল খোলা হবে না এবং কোনো জ্বালানি ট্রাক প্রবেশ করবে না। ইসরায়েল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় ভয়াবহ পানি সংকটের মুখোমুখি হয়েছে গাজার অন্তত সাড়ে ৬ লাখ মানুষ। এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ।

সংস্থাটির মানবিক কার্যালয় বলছে, গাজায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের কারণে গত শনিবার থেকে ১ হাজার ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এ অঞ্চলে অনেকেই পানি, জ্বালানি ও চিকিৎসা সেবা সরবরাহে মারাত্মক সংকটের সম্মুখীন।

জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয় আরও বলছে, হামলার ঘটনায় আরও ৫৬০টি আবাসন ইউনিট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত; এগুলো বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ইসরায়েলি বিমান হামলার কারণে কমপক্ষে ১২ হাজার ৬০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই অঞ্চলের ১৩টি হাসপাতাল আংশিকভাবে চালু রয়েছে।

জ্বালানি ও  গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সরবরাহের তীব্র ঘাটতি রয়েছে। উপত্যকায় অবরোধ কঠোর করায় পানি সরবরাহ প্রায় বন্ধ। ২৩ লাখ জনগণের গাজায় সাড়ে ৬ লাখ মানুষ তীব্র পানির সংকটে পড়েছে। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। রাস্তায় রাস্তায় মানুষের ভ্রূণ-বর্জ্য পড়ে আছে। এটি গাজার মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বিশাল বিপদ।

জাতিসংঘ আরও জানিয়েছে দুই পক্ষের হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি। ২ লাখ ১৮ হাজার ৬০০ মানুষ গাজা উপত্যকায় ইউএনআরডব্লিইএ’র ৯২টি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। আবার অনেকে সরকারি স্কুল ও অন্যান্য ভবনে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।