পশ্চিমাদের সতর্ক করলেন পুতিন
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার জন্য ইউরোপের ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো ইউক্রেনকে তাদের অস্ত্র ব্যবহারের প্রস্তাব দিচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা আগুন নিয়ে খেলছে। ফলে বিশ্বব্যাপী সংঘাত শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেন পুতিন। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আকস্মিক হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকে দুদেশের সংঘাত চলছেই। এখনও সংঘাত বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইউক্রেনকে নানা ধরনের সহায়তা দিতে গিয়ে পরোক্ষভাবে এই যুদ্ধে জড়িয়ে গেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে মারাত্মক সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে ইউক্রেন এবং রাশিয়া।
এর আগে ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ দ্য ইকোনমিস্টকে বলেন, রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালাতে জোটের সদস্যদের উচিত ইউক্রেনকে পশ্চিমা অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করা।
তার এমন বক্তব্যের পর পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি এ ধরনের কিছু ঘটতে থাকে তবে তা মারত্মক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। যদি ইউরোপে এই গুরুতর পদক্ষেপ নেয় তবে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে তা সামাল দেবে?
পুতিন বলেন, তারা কি বিশ্বজুড়ে সংঘাত চাচ্ছে? রাশিয়ার ওপর দূরপাল্লার অস্ত্র নিয়ে ইউক্রেন যদি হামলা চালাতে চায় তবে পশ্চিমা স্যাটেলাইট, গোয়েন্দা তথ্য এবং সামরিক সাহায্যের প্রয়োজন হবে। এমনটা ঘটলে পশ্চিমা দেশগুলো সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে যাবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেনে ফরাসি সেনা পাঠানো হলে তা বৈশ্বিক সংঘাতের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
ইউরোপে ন্যাটো সদস্যদের কথা বলতে গিয়ে পুতিন বলেন, ছোট দেশগুলোর উচিত তারা কী নিয়ে খেলছে সে সম্পর্কে সচেতন হওয়া। রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর আগে তাদের এর পরিণতি সম্পর্কে চিন্তা করা উচিত।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর গত ৬০ বছরের মধ্যে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে।
এই সংঘাতে ইউক্রেনে কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েক লাখ মানুষ প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে।