পুলিশের উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সরকারের ২০৪১ ভীষণ বাস্তবায়নে নিয়ামক শক্তি হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।

পুলিশের উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পুলিশের উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

 প্রথম নিউজ, ঢাকা : বর্তমান সরকার পুলিশের উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল থাকা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। সরকারের ২০৪১ ভীষণ বাস্তবায়নে নিয়ামক শক্তি হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।

বুধবার (১ মার্চ) সকালে রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৩’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। 

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ২০২২ সালে মোট ২৯১ জন পুলিশ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। তার মধ্যে ১২১ জন কর্তব্যরত অবস্থায় প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। 

পুলিশ সদস্যরা সব সময় আন্তরিক, কর্তব্যনিষ্ঠ ও দেশের জন্য তারা কাজ করেন। কাজ সমাধান করতে তারা পিছপা হন না, জীবন গেলেও তারা তাদের কর্তব্যের কথা ভুলেন না। তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রইল। 

তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনমন স্থির রাখা পুলিশ বাহিনীর অন্যতম কাজ। জানমাল রক্ষায় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সর্বদা সচেষ্ট নিবেদিত।

করোনাকালে পুলিশের ভূমিকা স্মরণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে আমরা দেখেছি পুলিশের কর্তব্যবোধ। সে সময় হাসপাতালে নিকট আত্মীয়ের মরদেহ ফেলে যেতে দেখেছি স্বজনদের, সেখানে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তার শেষ কাজটুকু করেছে পরম মমতা নিয়ে। বঙ্গবন্ধু যেই পুলিশ চেয়েছিলেন, আজকের সেই পুলিশ জনগণের পুলিশ হয়েছে। বাংলাদেশের সমস্ত কাজে তারা ভূমিকা রাখছেন। এরা তাদের সব কিছু ত্যাগের পরেও দায়িত্বে থাকেন। সেজন্যই আমরা দেশকে নিরাপত্তা দিতে সমর্থ হয়েছি। 

অনুদানের কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চাকরিরত অবস্থায় নিহত পুলিশের পরিবারের কল্যাণের দিকে লক্ষ্য রেখে, এককালীন আর্থিক অনুদানের ৫ লাখ টাকার প্রজ্ঞাপন বাতিল করে ৮ লাখ টাকা করেছে। ২০২০ সালে ১ অক্টোবর এই অনুদানের পরিমাণ ৮ লাখ টাকা করা হয়েছে। এছাড়াও চাকরিরত অবস্থায় স্থায়ীভাবে অক্ষম হয়ে অবসরে গেলে সাহায্যের পরিমাণ ৪ লাখ টাকা করা হয়েছে।

২০০০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিএনপি জামায়াত-শিবির, হেফাজত ইসলাম ও দুর্বৃত্তের হামলায় কর্তব্যরত অবস্থায় বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে এককালীন ৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকার অনুদান দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ২০২০ সাল থেকে পুলিশ সদস্যদের আজীবন রেশন সুবিধা প্রদান করছে। 

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল থাকা ও জননিরপত্ত নিশ্চিত করা একান্ত অপরিহার্য। সরকারের প্রকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে অন্যতম নিয়ামক শক্তি হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। এই লক্ষ্য অর্জনে পুলিশের সব সদস্যকে সততা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। 

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, দায়িত্বরত অবস্থায় পুলিশ সদস্যের রক্ত ও আত্মত্যাগ আমাদের ভীত করে না। তাদের আত্মত্যাগ আমাদের উজ্জীবিত ও উৎসাহিত করে আরও পেশাদারিত্ব, সাহসিকতার সঙ্গে দেশের মানুষের সেবা করার। যে সব পুলিশ সদস্য আত্মত্যাগ করেছেন তাদের পাশে সব সময় রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। আগামী দিনেও থাকবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান প্রমুখ।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: