পুরনো সব মামলার জট তুলনামূলক কমেছে : প্রধান বিচারপতি

শনিবার (৪ মার্চ) সকাল সোয়া ৯টায় ‘ন্যায়কুঞ্জ’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন শেষে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।

পুরনো সব মামলার জট তুলনামূলক কমেছে : প্রধান বিচারপতি
পুরনো সব মামলার জট তুলনামূলক কমেছে : প্রধান বিচারপতি

প্রথম নিউজ, চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, পুরনো সব মামলার জট তুলনামূলক কমেছে। শনিবার (৪ মার্চ) সকাল সোয়া ৯টায় ‘ন্যায়কুঞ্জ’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন শেষে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় আপীল বিভাগের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম, চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ জিয়া হায়দারসহ চুয়াডাঙ্গার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। একইসাথে তিনি আদালত চত্বরে গাছের চারা রোপন করেন।

সাংবাদিকদের সাথে প্রধান বিচারপতি বলেন, এই প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য জনগণের সেবা করা। ন্যায়কুঞ্জের কনসেপ্টটা ভাবনা চিন্তা করি এ কারণে যে গ্রাম-গঞ্জের মানুষ যেন সহজেই সেবা পায়। বিচারপ্রার্থীরা যেন আদালতে এসে কোনো দুর্ভোগ না পোহায়। বিশেষ করে নারীরা তাদের সন্তান নিয়ে এই ন্যায়কুঞ্জে বসে একটু বিশ্রাম নিতে পারে। এই আদালত এই অফিস সবকিছুই জনগণের স্বার্থে। জনগণের সেবা দেয়ার জন্যই মূলত এইগুলো তৈরি করা। তাই জনগণ সব সেবা যেন সহজভাবে পায়, সেদিকে আমাদের নজর রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করি, আদালত চত্বরে এ রকম কোনো বিশ্রামগার করার জন্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টে বিজয় একাত্তর উদ্বোধন ও আমার শপথের দিন ওয়াদা করেন, এটা করে দেবেন। তারপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে বিচার পেতে আগমনকারীদের দুর্ভোগ কমাতে এই বিশ্রামগার ন্যায়কুঞ্জের জন্য ইতোমধ্যে বাজেট দিয়েছেন। দেশের প্রতিটি আদালত চত্বরে এই ন্যায়কুঞ্জ নামের বিশ্রামাগার প্রতিষ্ঠা করা হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো বলেন, এত দিনে যে মামলা জট হয়েছে, ওই জট কমাতে আরো পাঁচ হাজার জুডিসিয়াল অফিসার লাগবে। প্রতি বছর ১০০-এর মতো আরো বেশি জুডিসিয়াল অফিসার এপোয়েন্ট দেয়া হচ্ছে। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই অন্য বছরের তুলনায় মামলা ডিসপোজাল রেট সারাদেশেই বেড়েছে। কারণ, আমি দায়িত্ব নেয়ার পরই সবাইকে দ্রুত মামলার জট কমাতে বলি। আমি মামলার জট কমাতে কাজ করে যাচ্ছি।

বেলা পৌনে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মুসরাত জেরীন, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফুর রহমান শিশির, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সেলিম উদ্দিন খান ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সাগর প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অতিথিদের ফুলেল অভ্যার্থনা ও শুভেচ্ছা জানান আইনজীবীরা।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: