প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে দেশে গুম-খুন বন্ধ হবে: গয়েশ্বর

তিনি বলেন, এই শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ভোটাধিকার ফিরবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন, তারেক রহমান দেশে ফিরে মানুষের সেবা করতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে দেশে গুম-খুন বন্ধ হবে: গয়েশ্বর

প্রথম নিউজ, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে দেশে গুম-খুন বন্ধ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, এই শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ভোটাধিকার ফিরবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন, তারেক রহমান দেশে ফিরে মানুষের সেবা করতে পারবেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে গুম, খুনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন বন্ধ হবে, পুলিশের বাড়াবাড়ি কমে যাবে। আজ সোমবার বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের জোন-৮’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন।
জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জে শাওন প্রধান, মুন্সীগঞ্জে শহীদুল ইসলাম শাওন, যশোরে আব্দুল আলিম নিহত হওয়াসহ সারাদেশে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশ হয়। আজকের সমাবেশের মধ্যদিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির ১৬টি সমাবেশ শেষ হলো।
পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ সারাদেশে বিএনপির নেতাদের তালিকা করার সার্কুলার দিয়েছে উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, পুলিশের যে অফিসার এই তালিকা করছেন, তাকে এই অধিকার কে দিয়েছে? এই অনাধিকার চর্চার অধিকার তাকে কে দিল? সংবিধানের কোথায় লেখা আছে সভা সমাবেশ করা যাবে না? শেখ হাসিনাকে বলব, পুলিশকে জনগণের মুখোমুখি  করবেন না। যে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের সভা-সমাবেশে লাঠি আনতে বারণ করেছে, সেই পুলিশ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের লাঠি কিভাবে বন্ধ করবেন? 
সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার প্রসঙ্গ টেনে সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বাধীন দেশের নাগরিকদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়; কিন্তু সীমান্তে আমার দেশের মানুষকে হত্যা করা হয় তখন? তিনি আরো বলেন, এই সরকার ভোটাধিকার হরণকারী সরকার, এই সরকার মুদ্রা পাচারকারী সরকার, এই সরকার নারী পাচারকারী সরকার। এই আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমরা যে দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়ার যে আন্দোলন করছি, এই আন্দোলন শুধুমাত্র বিএনপির আন্দোলন নয়; এই আন্দোলন দেশের সব মানুষের আন্দোলন। এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ও নতুন নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন হতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ^াস, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম,  বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আ ক ম মোজ্জামেল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব কাজী আবুল বাশার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ইশরাক হোসেন প্রমুখ।