নির্মমভাবে শেষ হয়েছিল রাজীব গান্ধীর রাজনৈতিক অধ্যায়: সোনিয়া
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর রাজনৈতিক জীবন ছিল সংক্ষিপ্ত এবং শেষ হয়েছিল অত্যন্ত নির্মমভাবে। কিন্তু সংক্ষিপ্ত কর্মজীবনে অসংখ্য সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি। রবিবার ২৫তম রাজীব গান্ধী জাতীয় সদভাবনা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তার স্ত্রী ও কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
বক্তব্যে সোনিয়া গান্ধী বলেন, রাজীব দেশের বৈচিত্র্যের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল ছিলেন। তিনি জাতির সেবা করার জন্য যতটুকু সময় পেয়েছেন, তার চেয়ে অনেক কিছু করেছেন। নারীর ক্ষমতায়নে ছিলেন সোচ্চার।
সোনিয়া আরও বলেন, ‘পঞ্চায়েত ও পৌরসভায় তিন ভাগের এক ভাগ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষণে লড়াই করেছিলেন রাজিব গান্ধী। তার অক্লান্ত পরিশ্রম আর দূরদর্শী চিন্তার কারণে আজ ভারতজুড়ে ১৫ লাখেরও বেশি নির্বাচিত নারী প্রতিনিধি রয়েছেন। ভোট দেওয়ার বয়স ২১ বছর থেকে কমিয়ে ১৮ বছর এনেছিল কংগ্রেস।’
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালের ৩১শে অক্টোবরে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে খুন হন ইন্দিরা গান্ধী। এরপর ১৯৮৪ সালের অক্টোবরে ৪০ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন রাজীব। তিনি ভারতের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী।
এরপর ১৯৯১ সালের ২১শে মে দক্ষিণ ভারতে এক নারী এলটিটি কর্মীর আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বাবা রাজীব গান্ধী। নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার সময় তার ওপর এক তামিল গেরিলা এই আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়। ৮৪ থেকে ৮৯ সাল পর্যন্ত সরকারে থাকাকালে তিনি ভারতীয় বাহিনী পাঠিয়ে শ্রীলঙ্কার এলটিটি বিদ্রোহীদের দমনের চেষ্টা করেছিলেন তিনি।