দেশের রাজকোষ শূন্য হয়ে গেছে: রিজভী

প্রথম নিউজ, অনলাইন: লুটপাট আর দুর্নীতির কারণে দেশের রাজকোষ শূন্য হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।  

রুহুল কবির রিজভী বলেন, লুটপাট আর দুর্নীতির কারণে দেশের আর্থিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে, রাজকোষ শূন্য হয়ে গেছে। দেশটা তিনমাস যে চলবে, সেই প্রয়োজনীয় অর্থ এখন ব্যাংকে নেই। যারা ঋণখেলাপি হয়েছেন এক লক্ষ বিরানব্বই হাজার কোটি টাকার তাদেরকে নিয়ম করে সুদ মওকুফ করে দেয়া হয়েছে। যারা লুটপাট করেছে, টাকা পাচার করেছে তারা সকলেই ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠ লোক।

তিনি বলেন, গত ১ জুলাই সোমবার আতিকুর রহমান রাসেলকে গোয়েন্দা পরিচয়ে তুলে নেয়া হয়েছে। ৮ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়নি বা আদালতে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে তার পরিবার, বাবা, তার মা, আত্মীয়-স্বজন ও দলের নেতাকর্মীর প্রত্যেকে গভীর উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছেন। বাবা-মায়ের যে আকুতি তা ভাষায় বর্ণনা করার মত নয়। তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে তুলে নিয়ে গেছে তা অনেকে দেখেছেন এবং সে গোয়েন্দা হেফাজতে রয়েছে বলে দাবী করেন রিজভী।

তিনি বলেন, এই ধরনের তরুণদেরকে নিরুদ্দেশ করে দেয়া হচ্ছে। কারণ তারা মানুষের পক্ষে কথা বলে, গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলে, গণতন্ত্রের পক্ষে স্লোগান দেয়। তাদের স্লোগান স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিষ্ঠুর দমন-নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আতিকুর রহমান রাসেলদের মতো তরুণদের নিরুদ্দেশ করে দেয়া হচ্ছে, নিখোঁজ করে দিচ্ছে।

রিজভী বলেন, দেশ এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা অতিক্রম করছে। মানুষের অধিকারগুলো দখলদার সরকার একের পর এক হরণ করেছে। মানুষ অধিকার বঞ্চিত, গণতন্ত্রে মানুষের যে অধিকারগুলো স্বীকৃত সে অধিকারগুলোকে মানুষ যাতে প্রয়োগ করতে না পারে তারজন্য রাষ্ট্রশক্তিকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা ইচ্ছে পূরণ করতে পারেন। এই বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে কেউ যেন কথা না বলতে পারে, তার বিরুদ্ধে কেউ যেন মিছিল না করতে পারে, এদেশে কেউ যেন সমাবেশ না করতে পারে। এজন্য বাংলাদেশের সংবিধান কাটাছেঁড়া করার পরেও গণতন্ত্রের যে অধিকারগুলো আছে, সেই অধিকারগুলো সরকারি যন্ত্র দিয়ে নানাভাবে দমন করছেন। এই দমন পৈশাচিক, এই দমন নিষ্ঠুর, এই দমন রক্তাক্ত।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ।