দেশের জনগণ তামাশার নির্বাচন হতে দিবে না : রিজভী
প্রধম নিউজ ঢাকা:বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমেই অবৈধ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। তিনি বলেন, দেশের জনগণ তামাশার ডামি নির্বাচন হতে দেব না। তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে একতরফা নির্বাচন প্রতিরোধ করবে। আজ সকাল ৭টায় কুমিল্লার চান্দিনায় গোবিন্দপুর বাসস্ট্যান্ডে অবরোধের সমর্থনে মিছিল ও পিকেটিংশেষে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিসহ ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে আজ দেশব্যাপি সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসুচি চলছে। এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া,কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম বাবু, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শরীফুজ্জামান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সাজ্জাদ, সহ-সভাপতি ফারুক আহমদ, জেলার সহসভাপতি মুন্জুরুল ইসলাম, চান্দিনা উপজেলার সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাহবুব আলম,জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান, মেঘনা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কেফায়েত উল্লাহ, মেঘনা বিএনপি নেতা সেকান্দর হোসাইন, কাজল,মহিউদ্দিন, সোহাগসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী বলেন, একতরফা ডামি নির্বাচনের আয়োজন করতে গিয়ে অবৈধ সরকার রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে দেশে নৈরাজ্যকর অবস্থার সৃষ্টি করছে। সারাদেশে এখন এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। হত্যা, গুম ও নিপীড়নের মাধ্যমে কত মায়ের বুক খালি করছে, কত বোন হারাচ্ছে তার স্বামীকে, কত সন্তান হারাচ্ছে তার বাবাকে। কারাগারেও হত্যা করা হচ্ছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে। লুটেরা আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৗমত্বকে বিকিয়ে দিয়ে আবারও ক্ষমতায় যেতে চায় পাতানো নির্বাচন আয়োজন করে। কিন্ত দেশের মানুষ তা আর হতে দেবে না। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার যতই টালবাহানা করুক কোনো লাভ হবে না। তাদেরকে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যেতেই হবে। আজকে শুধু বাংলাদেশের জনগণ নয় গণতান্ত্রিক বিশ্ব আওয়ামী লীগের ডামি নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার যতই টালবাহানা করুক কোনো লাভ হবে না। তাদেরকে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যেতেই হবে। আজকে শুধু বাংলাদেশের জনগণ নয় গণতান্ত্রিক বিশ্ব আওয়ামী লীগের ডামি নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে।
রিজভী বলেন, দেশের জনগণের কষ্টার্জিত টাকা লুটে বিদেশে পাচার করেছে আওয়ামী লুটেরা সরকার। এখন সেই লুটের টাকা ডামি ভোটে ঢালছে তারা। আজকে দেশের অর্থনীতির কী করুণ পরিণতি। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি বলেছে- ২০০৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এই ১৫ বছরে ব্যাংক খাত থেকে অনিয়মের মাধ্যমে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। ব্যাংক খাত থেকে অনিয়মের মাধ্যমে বের করে নেওয়া এ অর্থ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের ১২ শতাংশের বেশি। ফলে এ অর্থে অনায়াসে বাজেট ঘাটতি মেটানো সম্ভব হতো।