তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার রুল শুনানি বুধবার

 তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার রুল শুনানি বুধবার

প্রথম নিউজ, ঢাকা : গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত রুলের চূড়ান্ত শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম, সানজিদা খানম ও অ্যাডভোকেট নাসরিন সিদ্দিকা লিনা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

এর আগে, সকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত রুল শুনানির দিন ধার্যের শুনানিতে হাইকোর্টের এজলাস কক্ষে হট্টগোলের ঘটনা ঘটে।

বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির একপর্যায়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং হট্রগোলের ঘটনা ঘটে।

শুনানির একপর্যায়ে বিএনপির ব্যারিস্টার কায়সার কামাল শুনানির সময় পিছিয়ে আগামীকাল ধার্য করার কথা বলেন। এসময় কায়সার কামালের উদ্দেশে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, শুনানি কখন হবে সেটি আপনি বলার কে? 

এসময় কোর্টে উপস্থিত বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা হইচই করে ওঠেন। তারা কামরুল ইসলামের উদ্দেশে ‘গম চোর, গম চোর’ বলে হইচই করতে থাকেন। আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা কামরুল ইসলামের বক্তব্যে সমর্থন জানান। বিএনপির আইনজীবীরা বলেন, এটা বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ পাননি। এটা হাইকোর্ট।

আদালতে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, কোর্টের ভেতরে তিনি (কামরুল ইসলাম) যে ভাষায় কথা বলছেন, আমাদের তো বাইরে বের হতে ভয় হচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পরে আদালতের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং শুনানির জন্য দুপুর ২টায় সময় নির্ধারণ করেন।

গত ১৩ আগস্ট ঠিকানা সংশোধন করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞায় জারি করা রুলের নোটিশ পাঠাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। 

বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) ঠিকানা সংশোধন করে আবেদন করতে বলেন হাইকোর্ট। পরে রিটকারি ঠিকানা সংশোধনের আবেদন করলে আদালত আজ এ আদেশ দেন।

২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে তৎকালীন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছিলেন। 

একইসঙ্গে তারেক রহমানের বিদেশে অবস্থানের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানাতে পররাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তারেক রহমানের পাসপোর্টের মেয়াদের বিষয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) একটি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন আদালত।

তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

তারপর দীর্ঘদিনেও রুলের শুনানি হয়নি। সম্প্রতি সমাবেশে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার করে বিএনপি। এরপরই বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রুল শুনানির আবেদনে করেন রিটকারী আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা।