তামাশার নির্বাচ‌নে জনগণ অংশ নেবে না: গণতন্ত্র মঞ্চ

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ এই আহ্বান নিয়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগপূর্ব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

তামাশার নির্বাচ‌নে জনগণ অংশ নেবে না: গণতন্ত্র মঞ্চ

প্রথম নিউজ, অনলাইন:  ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়ার এই তামাশার নির্বাচ‌নে জনগণ অংশ নেবে না ব‌লে মন্তব‌্য ক‌রে‌ছে গণতন্ত্র মঞ্চ নেতৃ‌বৃন্দ। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ এই আহ্বান নিয়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগপূর্ব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু। 

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি-র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন এবং নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার। সভা পরিচালনা করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আবু ইউসুফ সেলিম।   
সমাবেশ থেকে ভোট বর্জনের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, যতই পুলিশী বাধা আসুক জনগণকে সাথে নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ তাদের ধারাবাহিক লড়াই চালিয়ে যাবে। নির্বাচন কমিশনের সভা-সমাবেশের ওপর যতই নিষেধাজ্ঞা থাকুক, জনগণ দেশে আরেকটা ভুয়া নির্বাচন করতে হতে দিবে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘এখনও সময় আছে সকল বিরোধী পক্ষের সাথে আলোচনায় বসে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের বসার উদ্যোগ নিন। ৭ তারিখের নির্বাচন বাতিল করে সকল রাজনৈতিক দলকে সাথে নিয়ে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করুন।’ 
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার এবারের একতরফা নির্বাচনে ‘উন্নয়নের গণতন্ত্র’কেই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। জনগণ জানে এদের উন্নয়ন মানে হচ্ছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার এবং বিদেশে বেগম পাড়াসহ বিভিন্ন পাড়া তৈরি। এদের উন্নয়ন মানে হলো আসলে কোটি কোটি মানুষের হাহাকার।’ 
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘তামাশার ভোটের সব হিসাবনিকাশ অগ্রিম ঠিক করা হয়েছে। এখানে ৭ তারিখ জনগণের ভোট লাগবে না। আগেই ঠিক করা হয়েছে কারা কারা জিতবে; আর কে হবে প্রধানমন্ত্রী। আর যদিও এ মুহূর্তে আওয়ামী লীগ কল্পিত প্রতিযোগিতা দেখাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে মারামারি করছে। প্রলোভন দিয়ে, হুমকি দিয়ে যাদেরকে প্রার্থী করা হয়েছিল, তারাও আর ভোটের মাঠে নাই।’
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘একটা দল তাদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য পুরো দেশকে ভয়ংকর হুমকির মুখোমুখি করছে। এই সরকার দেশকে ভয়াবহ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সংকট, কূটনৈতিক সংকটসহ আন্তর্জাতিক সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশকে পরাশক্তিগুলোর ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করছে। কাজী দেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার এই তামাশার নির্বাচনে জনগণ অংশ নেবে না।’
এ সময় শাহবাগ মোড়ে পুলিশি বাধার মুখে গণসংযোগের উদ্দেশ্য শুরু হওয়া মিছিল পণ্ড হয়ে যায়। আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশের গণতন্ত্র উদ্ধার করতে গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিরোধীদলসমূহের অহিংস ও শান্তিপূর্ণ পথে আন্দোলন চলতে থাকবে। বাধা দিয়েও আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।