ডা. রফিকসহ পেশাজীবীদের নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি

বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহবায়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী  আজ ২৮ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার এক যুক্ত বিবৃতিতে বিশিষ্ট চিকিৎসক, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম এবং বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট আবদুর রহিম,এডভোকেট সৈয়দ হোসেন ও এডভোকেট শাহদাত হোসেনের বিরুদ্ধে পুলিশের ‘অসত্য মামলা’ দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিবৃতিতে পেশাজীবী নেতৃদ্বয় অবিলম্বে পেশাজীবীসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নামে দায়েরকৃত এসব বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

ডা. রফিকসহ পেশাজীবীদের নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি
ডা. রফিকসহ পেশাজীবীদের নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি

প্রথম নিউজ, অনলাইন: বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহবায়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী  আজ ২৮ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার এক যুক্ত বিবৃতিতে বিশিষ্ট চিকিৎসক, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম এবং বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট আবদুর রহিম,এডভোকেট সৈয়দ হোসেন ও এডভোকেট শাহদাত হোসেনের বিরুদ্ধে পুলিশের ‘অসত্য মামলা’ দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিবৃতিতে পেশাজীবী নেতৃদ্বয় অবিলম্বে পেশাজীবীসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নামে দায়েরকৃত এসব বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়,  বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে শনিবার দেশব্যাপী সকল জেলায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।দেশব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঝালকাঠিতে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও এর সংগঠনের নেতারা অতর্কিত হামলা চালিয়ে বিরোধীদলের অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এ হামলার খবর ফলাওভাবে ছাপাও হয়েছে। এখন উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতে পেশাজীবীনেতা ডা. রফিকুল ইসলামসহ বিরোধীদলের ৩৮ নেতাকর্মীর নামে এবং ১০০.থেকে ১৫০ নেতাকর্মীকে অজ্ঞাত আসামি করে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাষ্ট্রের অর্থে লালিত- পালিত একটি বাহিনীর এমন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ কিছুতেই কাম্য নয়। এতে  রাষ্টের এই বাহিনীর প্রতি নাগরিদের আস্থাহীনতাই বাড়বে না, দেশে একটা বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠবে। কারণ অপরাধীরা যখন পার পেয়ে যাবে আর নিরপরাধী শাস্তি ভোগ করবে তখন অপরাধ বাড়তেই থাকে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়।

বিবৃতিতে পেশাজীবী নেতৃদ্বয় বলেন,‘রাষ্ট্র এখন সর্বগ্রাসী সন্ত্রাসী রূপ ধারণ করেছে। হামলা-মামলা, গ্রেফতার, গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে ক্ষমতায় থাকার অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছে আওয়ামী সরকার। এতে পেশাজীবী, ভিন্নমতাবলম্বী,বিরোধীদলীয় রাজনীতিকসহ সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিপন্ন হয়ে পড়েছে।’ ‘প্রতিদিন শহর থেকে গ্রাম সবখানেই পেশাজীবী,প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ সাধারণ মানুষ নির্যাতিত হচ্ছে, তাদের রক্ত ঝরানো হচ্ছে, জীবন কেড়ে নেয়া হচ্ছে। যা কোন অবস্থাতেই বরদাশত করার মতো নয়। আমরা সরকারকে নির্যাতন-নিপীড়নের অশুভ পথ ছেড়ে গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসার আহবান জানাচ্ছি।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: