ড. ইউনূস সরকার নির্বাচন দিতে গড়িমসি করছে- রিজভী

প্রথম নিউজ, অনলাইন: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি কতিপয় রাজনৈতিক দলের দুরভিসন্ধিমূলক দাবি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার শেরেবাংলা নগরে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে তিনি এ অভিযোগ করেন। এরআগে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রিজভী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা নিয়ে ওঁৎ পেতে আছেন। দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিয়ে সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে হবে। জাতি এখন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে।’ ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার নির্বাচন দিতে গড়িমসি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘যে গণতন্ত্রের জন্য এতো জীবন গেলো, সেই গণতন্ত্র ফেরাতে ভোটের জন্য চূড়ান্ত ডেডলাইন দিতে হবে এই সরকারকে। তার আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত সেরে নিতে হবে।’
রিজভী বলেন, ‘আজকে আমাদের গণতন্ত্রের চূড়ান্ত করার জন্য অনেক কাজ বাকি। আমরা হাসিনাকে (ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) পরাজিত করতে পেরেছি, সে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু আমাদের সবকিছু সে শেষ করে দিয়ে গেছেন। আপনারা জানেন, একেকজন মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতাদের ব্যাংকে লেনদেন পাওয়া যাচ্ছে হাজার কোটি টাকার। তারা গোটা দেশ ও জাতিকে লুণ্ঠনের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছিল। তাদের হাত দিয়ে বার বার গণহত্যা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার বাবা বাকশাল করেছিলেন, আর এবার তিনি দ্বিতীয় বাকশাল তৈরি করেছিলেন। তার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের ছাত্রদল, যুবদলের নেতাদের ধরে ধরে নিয়ে এসে হত্যা করেছিল। যারা গণতন্ত্রের জন্য কর্মসূচি পালন করেছে, তাদের হত্যা করেছে। তাদের বিচার হবেই ইনশাআল্লাহ।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আমরা একটি ঐতিহাসিক অধ্যায় পার হয়ে নতুন অধ্যায় শুরু করেছি। আগে আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা ছিল না, আমরা গণতন্ত্রের চর্চা করতে পারতাম না, অনুশীলন করতে পারতাম না, আমরা সভা-সমাবেশ করতে পারতাম না। সবসময় আমাদের নেতাকর্মীদের গুম, খুন ও নিপীড়ন চালানো হয়েছে ও হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ পর্যায় অতিক্রম করে এক ভয়ঙ্কর দানব শেখ হাসিনাকে পরাজিত করে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছি। সে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। সুতরাং আমার আশা করি, এ নতুন পরিবেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। নারায়ণগঞ্জে যে শামীম ওসমানের মাফিয়া রাজত্ব ছিলো, তা ভেঙে একটি মানবিক নারায়ণগঞ্জ গড়ে তুলবে।’
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদুর রহমান সুমন ও নজরুল ইসলাম আজাদসহ জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।