টাঙ্গাইলে আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধ ধর্ষণ মামলার বাদীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় একজন গ্রেফতার 

টাঙ্গাইলে আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধ ধর্ষণ মামলার বাদীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় একজন গ্রেফতার 

প্রথম নিউজ,টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার বাদী কলেজ ছাত্রী এশা মির্জার  ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সৌরভ না‌মের একজনকে গ্রেপ্তার ক‌রে‌ছে পু‌লিশ। 

গ্রেপ্তার সৌরভ পাল টাঙ্গাইল পৌরসভার থানাপাড়া এলাকার শ‌্যামল পালের ছে‌লের। শুক্রবার রাতে ওই এলাকা থে‌কে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম মিয়া বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন। 

এরআগে নিহত ক‌লেজছাত্রী এশা মির্জার বড় বোন লুনা মির্জা বাদী হয়ে সৌরভ নামের যুবকসহ তার আপন ভাই জনি মির্জার নামে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা দায়ের করেন। 

টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম মিয়া জানান, শনিবার রাতে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে এশা মির্জার বোন লুনা মির্জা আপন ভাই জনি মির্জা ও সৌরভ নামের একজনকে আসামি করেন। মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

চলতি বছরের ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় এশা বাদি হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় এশা ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্বা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। পরে ৬ এপ্রিল দুপুরে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন ওই কিশোরী।

মামলা দায়েরের পর গোলাম কিবরিয়া উচ্চ আদালত থেকে অন্তরবর্তিকালিন জামিন লাভ করেন। পরে দিন আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৩০ জুন টাঙ্গাইল শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এশা পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। পরে আদালতের নির্দেশে এশার গর্ভে জন্ম নেয়া শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার প্রতিবেদনে জন্ম নেওয়া ওই শিশুটির পিতা গোলাম কিবরিয়া নন বলে জানা যায়। পরে আদালত গত ৯ অক্টোবর গোলাম কিবরিয়াকে ১১ জুলাই উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন। পরে তিনি কারা মুক্তি লাভ করেন। ধর্ষণের এই মামলাটি টাঙ্গাইলের পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন (পিপিআই) তদন্ত করছে।