জেলা আ.লীগ বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে : এমপি একরামুল
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এক শোকসভায় একরামুল করিম চৌধুরী এসব কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, নোয়াখালী : নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) একরামুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, মার্কেটে শোনা যায় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। এটা করতে যাবেন না। তাহলে আগামী ৪০ বছরেও খবর থাকবে না।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এক শোকসভায় একরামুল করিম চৌধুরী এসব কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ এম খাইরুল আনম চৌধুরী সেলিমের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের কর্ণধার কী কী করেছেন তা আমাদের জানা আছে। চেয়ারম্যান থাকাকালীন হিন্দুদের ওপর যে নির্যাতন করেছেন তাও মানুষ জানে। আপনি জেলা শহরে ছয়তলা বাড়ি কীভাবে করেছেন সবাই জানে। কার জায়গায় করেছেন তাও আমরা জানি। গভীর রাতে বিএনপির শাহজাহান এমপির সঙ্গে নৌকার প্রার্থীকে হারানোর জন্য কথা বলেছেন তার প্রমাণ আমার কাছে আছে। সব কিছু যদি মার্কেটে বলি তাহলে আপনার মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগের লোকজন আপনার চেহারা দেখতেও যাবে না।
একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, হিথ্রো বিমানবন্দরে কারা বঙ্গবন্ধুকে ফেরাউনের সঙ্গে তুলনা করেছিলো নোয়াখালীর মানুষ সবাই জানে। ২০০৮ সালে কারা মেজর মান্নানের কুলা নিয়ে নৌকাকে হারাতে কাজ করেছে তাদের সবাইকে নোয়াখালীর মানুষ চিনে। তারাই এখন বিএনপির সঙ্গে আঁতাত করে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আজ যারা শোক র্যালিতে এসে জনসমুদ্রে পরিণত করেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আপনাদের ভালোবাসায় আমি কিছু কথা বলতে চাই। আমি চক্রান্তের শিকার হয়েছি। আমি চিৎকার করে বলতে চাই বঙ্গবন্ধু তুমি মরো নাই। আসুন না সবাই মিলে একটু কান্না করি বঙ্গবন্ধুর জন্য।
এ সময় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শামছুদ্দিন জেহান, এমপিপুত্র শাবাব চৌধুরী, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্টসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ এম খাইরুল আনম চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার সহকারী জানান তিনি অনুষ্ঠানে আছেন পরে ফোন দেন। পরবর্তীতে আবারও ফোন দিয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন বলেন, তিনি যে অনুষ্ঠান করেছেন তাতে জেলা আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি কী বললেন না বললেন না তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। তিনি বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে তিরস্কৃত হয়েছেন। আমাদের সন্দেহ হয় উনি বিএনপির সঙ্গে আঁতত করেছেন।