জীবিকার তাগিদে ঢাকা ফিরছে মানুষ
আজ মঙ্গলবার (৪ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশন ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।

প্রথম নিউজ, ঢাকা: মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে এ বছর ঢাকা ছাড়েন প্রায় ১ কোটিরও বেশি মানুষ। কোরবানি ও পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি শেষে ইতোমধ্যে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন অনেকেই। বাস, লঞ্চ, ট্রেন কিংবা আকাশপথেও ঢাকা ফিরছেন।
গত রোববার থেকে সরকারি অফিস আদালত খোলা শুরু করলেও আজ (মঙ্গলবার) ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ কিছুটা বেশি। তবে প্রতিবার ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি থাকলেও এবছর ট্রেন যাত্রায় তেমন অভিযোগ নেই যাত্রীদের।
আজ মঙ্গলবার (৪ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশন ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিন দেখা গেছে, ট্রেনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কোনো ঝামেলা ছাড়াই রাজধানীতে প্রবেশ করছেন যাত্রীরা।
স্টেশনে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা যথারীতি আগে থেকেই ফিরতি যাত্রার টিকিট সংগ্রহ করে রেখেছিলেন। কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই ট্রেনে উঠতে পেরেছেন। তাদের ভোগান্তিমুক্ত ভ্রমণ এবার আনন্দদায়ক হচ্ছে। একইসঙ্গে অনলাইনে ট্রেনের টিকেটিং পদ্ধতি হওয়ায় ঘরে বসেই অনেকে টিকেট ক্রয়ের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। কিছুটা সার্ভার জটিলতা থাকলেও যাত্রীদের অনেকেই টিকেট পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
স্টেশনে দেখা গেছে, ঈদুল আজহা উদযাপন শেষে ট্রেনে ঢাকায় ফিরছেন অনেকে। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সকাল থেকে ঈদযাত্রীদের কিছুটা ভিড় ছিল। ট্রেনের শিডিউলেও কোনো হেরফের দেখা যায়নি।
ঈদের ছুটি শেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা ফিরেছেন ইসমাম হাসান। তিনি জানান, আমি অনলাইনেই ট্রেনের ফিরতি টিকেট কেটে রেখেছিলাম। আগে থেকেই টিকেট পাওয়ায় কোন ভোগান্তি হয়নি। আমরা পরিবারের চারজন সদস্য একত্রে ঢাকা এসেছি। সবাই সিট পেয়েছি। ট্রেনে সেবার মান কিছুটা উন্নত হয়েছে মনে হচ্ছে।
একই এলাকা থেকে ঢাকায় আসা আব্দুল আউয়াল বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে গ্রামে গিয়েছিলাম। একসঙ্গে ঈদ উদযাপন করেছি। আমার দোকান আছে ঢাকাতে সুতরাং আগেভাগেই চলে এসেছি। পরিবারের বাকি সদস্যরা কয়েকদিন পর ফিরবে। ট্রেনে করেই আমি প্রতিবছর গ্রামে যাই। অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে এ বছর ভালো সেবা পেয়েছি।
নাসিম আহমেদ নামের আরেক যাত্রী বলেন, আমি ব্যাংকে চাকরি করি। অতিরিক্ত ছুটি শেষ করে আজ ঢাকা ফিরলাম। বাসে যাতায়াতে অনেক কষ্ট হয়। আমার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য বাসে চড়লেই বমি করেন। সুতরাং বাধ্য হয়েই প্রতিবছর ট্রেনে যাতায়াত করতে হয়। বিগত সময়ে ট্রেনে অনেক ভোগান্তি দেখেছি। তবে এ বছর তেমন সমস্যা হয়নি।